Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

| প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : বজ্রপাতে গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ ও সুনামগঞ্জ জেলায় দুই জন করে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট :
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর ও হরিণাকুন্ডুতে বজ্রপাতে নির্মল কুমার শর্মা (৪৭) ও মানোয়ার হোসেন (৪২) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সময় এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে মধ্যে ভালকী হাই স্কুলের দপ্তরী মানোয়ার হোসেন এবং কাঠ মিস্ত্রী নির্মল কুমার শর্মা । জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামের নাজিম উদ্দিন জানান, বিকালে ভালকী মাঠে মধ্যে ধান আনতে যায় তার চাচা মানোয়ার। এসময় বজ্রপাতে তিনি নিহত হন। বজ্রপাতে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। মাঠের কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। মনোয়ার ভালকী গ্রামের মৃত ভরসা আলী মন্ডলের ছেলে। এদিকে মহেশপুরে বাতানগাছি গ্রামের নির্মল কুমার শর্মা মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজারে আসার সময় বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় তিনি একটি বটগাছের নিচে বসে ছিলেন। বজ্রপাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি বাতানগাছি গ্রামের মদন কুমার শর্মার ছেলে। মহেশপুর থানার ওসি লস্কার জায়াদুল হক এবং মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বজ্রপাতে নির্মল কুমার শর্মার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ২ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন রেখা রানী দাস(১৮) ও মো.একলাছুর রহমান(৪৫)। গতকাল শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের উজান সাফেলা ও ভাটি সাফেলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কৃষক এখলাছুর রহমান গ্রামের পাশে সাক্কুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী রেখা রানী দাস হাওরে তার পিতার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনরা হাওর থেকে ২ জনকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় রাস্তায় রেখা রানী দাস মারা যান এবং কৃষক এখলাছুর রহমান হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত রেখা রানী দাস হলেন, ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী ও উজান সাফেলা গ্রামের রাধিকা রঞ্জন দাসের মেয়ে । এখলাছুর রহমান হলেন, একই ইউনিয়নের ভাটি সাফেলা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ শহীদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ