Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে আমদানি ব্যয় টান পড়েছে রিজার্ভে

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছর আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে রিজার্ভের পরিমাণ। এর বিপরীতে বাড়েনি রফতানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহ। গত ফেব্রæয়ারি মাসের শেষদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ৩৩৬ কোটি ডলার। মার্চ মাসে সেই রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ১৯৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, এশিয়া ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেশগুলো বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পিয়াজ ও চাল আমদানি বেড়ে যাওয়ায় আমদানির পরিমাণ ব্যয় বেড়ে গেছে। জানুয়ারি-মার্চ সময়ের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আবারো ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে। তবে রিজার্ভ কমে গেলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জমা আছে, তা দিয়ে আগামী ছয় থেকে সাত মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩০শে জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ৩৪৯ কোটি ২৯ লাখ (প্রায় সাড়ে ৩৩ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে তা তিন হাজার ১৯৩ কোটি ডলারে নেমে আসে। যদিও গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে রিজার্ভ বাড়ার রেকর্ড গড় ছিল। কিন্তু আমদানির পরিমাণ বাড়ায় সার্বিকভাবে চাপ বেড়েছে রিজার্ভে। যদিও দেশে প্রবাসীদের পাঠানো আয় তথা রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে কিছুটা বেড়েছে রফতানি আয়ও। তবে সন্তোষজনক নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ৩০শে মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ২৯৯ কোটি ডলার। ২০১৬ সালের ৩০ শে জুন রিজার্ভ দাঁড়ায় তিন হাজার ১৩ কোটি ডলার। একইভাবে ২০১৭ সালের ৩১শে মে রিজার্ভ দাঁড়ায় তিন হাজার ২২৪ কোটি ডলার। গত বছরের ২১শে জুন রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৩০১ কোটি ডলার। এর পর থেকে বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে গেছে রিজার্ভের পরিমাণ।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুই খাত রেমিটেন্স ও রফতানি। সামপ্রতিক সময়ে আমদানি যেভাবে বাড়ছে, রেমিটেন্স ও রফতানি আয় সেভাবে বাড়েনি। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে অনেক খরচ বাড়ছে। গত বছর বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি অনেক গুণ বেড়েছে। এর কারণে রিজার্ভে কিছুটা চাপ পড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী, যেকোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকলেই তাকে নিরাপদ মাত্রা ধরা হয়। বাংলাদেশে বছরে গড়ে আমদানি ব্যয় হয় ৩৫০ কোটি ডলার। এ হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে আট মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

মঠবাড়িয়ায় বাল্যবিয়ের চেষ্টা বর ও কনে পক্ষের জরিমানা
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মনজিলা খাতুন (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে কনের মা, বরের বাবা ও বরকে জরিমানার দন্ডাদেশ দিয়ছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জি.এম সরফরাজ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত তিনজনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার এ দন্ডাদেশ দেন। দন্ডিতরা হলেন কনের মা উত্তর মিঠাখালী গ্রামের হোসনেআরা বেগম, বরের বাবা একই এলাকার জয়নাল হাওলাদার ও বর মো.ইউনুচ হাওলাদার।
মঠবাড়িয়া থানার এসআই নুর আমীন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তর মিঠখালী গ্রামের স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে বর ও কনের উভয় পক্ষ বিয়ের আয়োজন করে। স্কুল ছাত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ের আয়োজনের বিষয়ে গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেয়া হয়। পরে অভিযুক্ত বর,বরের বাবা,কনের মাকে আটক করে পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ দন্ডাদেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ