বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেটে উন্নয়ন খাতে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। আগামী ১০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই অঙ্কের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন ধীরগতির কারণে গত ৬ মার্চ তা সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের সম্পদ কমিটির বৈঠকে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে এক হাজার ৩৪৬টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ প্রস্তাব চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের এডিপির প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকায় সংশোধন করা হয়। সে হিসাবে নতুন অর্থবছরের জন্য এ প্রস্তাবনা প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি।
এদিকে নতুন অর্থবছরের জন্য সংস্থা/স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে সাত হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। আর এ খাতের প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে ১০৫টি। ওই কর্মকর্তা জানান, নতুন অর্থবছরের জন্য দেশীয় সম্পদের জোগান ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বৈদেশিক সম্পদের জোগান ধরা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরের জন্য খাত ভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ৪৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা থাকছে পরিবহন খাতে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২২ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের জন্য। তৃতীয় সর্বোচ্চ ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ১৭ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা। এরপর পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের জন্য ১৬ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতের জন্য ১৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য ১৪ হাজার ২১১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য পুষ্টি, জন্যসংখ্যা ও পরিবার কল্যান খাতের জন্য ১১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা এবং কৃষি খাতের জন্য ৭০ হাজার ৭৬ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য। সড়ক পরিবহণ ও মহা সড়ক বিভাগের জন্য তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এরপর যথাক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের জন্য ১১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা, সেতু বিভাগের জন্য নয় হাজার ১১২ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য আট হাজার ৩১২ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের জন্য ছয় হাজার ছয় কোটি টাকা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য পাঁচ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।