রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) থেকে জয়নাল আবেদীন জয় : দেশের বৃহৎ চলনবিলে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ বোরো ধান ক্ষেত। হাজার হাজার বিঘা জমির কাঁচা বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক এখন দিশেহারা। বাধ্য হয়ে কৃষকরা কাঁচা ধান কাটতে শুরু করেছে। নদ-নদী খাল-বিল বৃষ্টির পানিতে ভরে যাওয়া তা নিচু এলাকায় নেমে আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়ায় আর বৃষ্টিতে চলনবিলের কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে চলনবিলের নিচু বোরো ধান ক্ষেত গুলো তলিয়ে গেছে। চলনবিলে এবার রেকর্ড পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ধান গাছের বড় বড় ছড়ায় কৃষকের লাভবান হওয়ায় সম্ভাবনার হাতছানি। আগাম ধানের ফলও ভালো। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়া আর বৃষ্টিতে মহা বিপাকে পড়েছে কৃষক। ইতিমধ্যে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকার নিচু বোরো ধান ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকার জমিতে ধানের শীর্ষ পর্যন্ত পানি বেধে গেছে। বেশির ভাগ এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে কাঁচা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছে। এতে নামমাত্র ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুড়ে চলনবিলের উল্লাপাড়া উপজেলার বামনডাঙ্গা বিলে গিয়ে দেখা যায়, শত শত কৃষক কোমর পানিতে নেমে দলবেধে কাঁচা ধান কাটছেন। নৌকায় করে সেই ধান আবার পাড়ে আনা হচ্ছে। আধা পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। উচ্চ মুল্যে শ্রমিক লাগিয়ে কৃষকরা খড় আর কিছু ধান পাওয়ার আশায় বাধ্য হয়ে সেই কাঁচা ধানই কাটছেন। কথা হলো সেই বিলের কৃষক মো.শাহজাহান আলীর সাথে। তিনি জানালেন বৃষ্টিতে সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে। এই বিলে আমার কয়েক বিঘা জমির কাঁচা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। উচ্চ মূল্যে শ্রমিক লাগিয়ে তিনি খড় আর কিছু ধান পাওয়ার আশায় সেই কাঁচা ধানই কাটছেন। তার মত একই অবস্থা এই বিলের অনেক কৃষকের। তিনি জানান,শুধু বিল নয় এই এলাকার অনেক নিচু আধা পাকা বোরো ধান ক্ষেতে এখন ধানের শীর্ষ পর্যন্ত পানি আটকে আছে। এসব জমিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের দ্বীগুন পারিশ্রমিক দিতে হবে। সেই সাথে ধান কাটার পর নৌকায় পাড়ে এনে তা বহন করে বাড়িতে আনতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলনও পাওয়া যাচ্ছে কম। চলনবিলের মাঠে মাঠে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কারনে কৃষকরা তা ঘরে তোলো নিয়ে চিন্তিত। আবহাওয়া খারাপ থাকায় বাড়তি টাকাও শ্রমিক মিলছে না। এ উপজেলার অনেক মাঠে পাকা ধান কাটা মুরু হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় শ্রমিক মিলছে না।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চলনবিলের উল্লাপাড়া,সলঙ্গা,নাটোর,সিংড়া,চাটমোহর,ভাংগুড়া,তাড়াশ এলাকার নিচু এলাকায় হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ঝড়ে অনেক জমির ধান গাছ ভেঙ্গে পড়ে গেছে। মাঠে মাঠে কৃষকরা পানিতে নেমে ধান কেটে নৌকায় করে পাড়ে বয়ে আনছে। এতে অনেক কৃষক কাঁচা ধান কাটায় চরম ক্ষতিগ্রস্থ। শুধু উল্লাপাড়া উপজেলায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া এমন থাকলে বাম্পার ফলনের পরও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে। উল্লাপাড়া কৃষি অধিদপ্তরের হিসাবে মতে কয়েকদিনে হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।