Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলীর নির্দেশে ও পুলিশের উপস্থিতিতে শত শত লোকের সামনে এক পরিবারের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালী গ্রামে। স্থানীয় চেয়ারম্যান হোসেন আলী ও তার পোষ্য বাহিনীর সন্ত্রাসীরা জনৈক ওয়াদুদ মিয়ার তিন রুম বিশিষ্ট সেমিপাকা বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান, পুলিশ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য কার্যত পরস্পরবিরোধীও। ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াদুদ মিয়া জানান, তিনি ডিহি ইউনিয়নের টেংরালী গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন যাবত দুই নম্বর টেংরালী মৌজার সাবেক ৭৭৬ নম্বর দাগে ১৫ শতক বাস্তু জমি ভোগদখল করে আসছেন তিনি। বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে তিনি জমিটি পান। বর্তমান সরকারের নির্দেশে অর্পিত সম্পত্তির হাল রেকর্ড দেওয়ার নিষেধ থাকায় হাল জরিপে তাদের নিজ নিজ নামে ওয়ারেশ সূত্রে রেকর্ড করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের পক্ষে এক-এক খতিয়ানে রেকর্ড হয়। পরে হাল জরিপে তাদের নামে ওয়ারেশ সূত্রে রেকর্ড পাওয়ার জন্য শার্শা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলীর নির্দেশে এলাকার চিহ্নিত লাঠিয়াল খালেক, রাজ্জাক, সামাদ, বাবলু, সহ আরো অনেকেই স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শেখ লুৎফর রহমানের উপস্থিতিতে তিনরুম বিশিষ্ট আমার সেমিপাকা বিল্ডিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তারা ঘরের দরজা-জানালাগুলো ভ্যানযোগে নিয়ে যায়। ঘটনাটি শত শত গ্রামবাসীর সামনে ঘটলেও পুলিশ উপস্থিত থাকার কারণে প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পায়নি। গ্রামবাসীর মধ্যে কেউ কেউ এই ঘটনার ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করতে গেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই শেখ লুৎফর রহমান তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আটক করার হুমকি দেয়।’ এ ব্যাপারে ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করায় প্রতিবেশীরা যাতায়াতের রাস্তা বের করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তার নির্দেশে বাড়ি ভাঙা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। শার্শার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও তার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে সরকারি সম্পত্তি থেকে অবৈধ বসতি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।’ গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শেখ লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমাকে শার্শার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয় ফোন দিয়ে জানান, টেংরালী গ্রামে একটি উচ্ছেদ অভিযান আছে। তিনি আমাকে সেখানে থাকার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে শার্শার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাড়িঘর ভাঙচুর করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এলাকায় যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেজন্য গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দিই।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ