Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নওগাঁয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পতিসরে নাগর নদীতে স্মৃতি বর্ধনের ঘাট

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনার নওগাঁর পতিসরে নাগর নদীর পাড়ে একটি বাঁধানো ঘাট তৈরি করে কবির স্মৃতি বর্ধন করা হয়েছে। পতিসরের স্মৃতি বর্ধনে এ ঘাট কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান নিজস্ব পরিকল্পনায় ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় এলজিএসপির অর্থায়নে এ ঘাট নির্মাণ করে কবির স্মৃতি বহালের প্রয়াস গ্রহণ করেন। সূত্রে জানা গেছে, আত্রাইয়ের ঐতিহ্যবাহী গুড় নদীর বক্ষ চিড়ে উপজেলার খাসখামার, দর্শনগ্রাম, পতিসর, হাটসড়িয়া হয়ে বয়ে গেছে কবির স্মৃতি বাহক নাগর নদ। কবি সেই ১৮৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি সর্বপ্রথম তার বজরায় চড়ে নাগর নদ দিয়ে পতিসরে এসে এ ঘাটে নেমেছিলেন। সে সময় শত শত জনতা তাকে এ ঘাটে বরণ করে নিয়েছিলেন। এর পর থেকে কবি যতবারই পতিসরে এসেছেন, এ নাগর নদ হয়েই তিনি এসেছেন। আর এ নাগর নদের যে ঘাটে কবি অবতরণ করে তার কাছারিবাড়ি যেতেন, সেটি কাছারিবাড়ির সন্নিকটে হলেও যুগ যুগ থেকে তা ব্যবহার না করে ঘাটটি ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। কবির সেই স্মৃতিকে লালন করার লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত পতিসরের অনেক উন্নয়ন হলেও এখানে একটি ঘাট নির্মাণের উদ্যোগ কেউ কখনও গ্রহণ করেননি । যে ঘাটে কবির বজরা বা নৌকা ভিড়ত। সেখান থেকে কবি পায়ে হেঁটে কাছারি বাড়ি পর্যন্ত যেতেন। চলতি বছরের এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ দ্বারা এখানে একটি ‘নাগর ঘাট’ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান। তার এ উদ্যোগকে সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আল্লামা শেরে বিপ্লব। এ ব্যাপারে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি সংগ্রাহক এম মতিউর রহমান মামুন বলেন, এ নাগরঘাট তৈরির মধ্য দিয়ে কবির আরও একটি স্মৃতি বর্ধন হলো। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আল্লামা শেরে বিপ্লব বলেন, আমাদের পতিসরে কবির আগমন ছিল এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ। তার স্মৃতি রক্ষায় আমরা আরও তৎপর হব। এলজিএসপির অর্থায়নে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি অর্থবছরে ঘাটটি নির্মাণ করা হলো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, বিশ্বকবির পদস্পর্শে ধন্য এ পতিসরে কিছু করতে পেরে নিজেকে আমি গর্বিত মনে করছি। কালের বিবর্তে কবির অনেক স্মৃতিই হারিয়ে গেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি সেগুলো পুনঃস্থাপনের জন্য।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ