Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তীব্র গরমে নেছারাবাদে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : নেছারাবাদে তীব্র গরমে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছেনা কলেরার আইভি স্যালাইন। প্রতিনিয়ত ৪০-৫০ জন রোগী হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগসহ আশপাশ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক, গ্রাম্য চিকিৎকদের চেম্বার দিয়ে শিশু, নারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সি লোকেরা ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে হাসপাতাল থেকে জানা গেছে এ উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়া, নাজিরপুর সীমান্তবর্তী কাউখালি উপজেলা থেকেও এ হাসপাতালে ডাইরিয়ার রোগী আসছে। তাই এ মৌসুমে অত্র হাসপাতালে অন্যান্যে উপজেলার চেয়ে ডায়রিয়ার রোগী সংখ্যা একটু বেশি থাকে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সাধারন মানুষ। দূষিত পানি ব্যবহার, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব মোট কথা স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে গ্রামের বেশি লোকেরা আক্রান্ত হচ্ছে বলছেন চিকিৎসকরা।
জানাযায়, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগ থেকে ১২৭ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন। গত একদিনে অর্থ্যাৎ চব্বিশ ঘন্টায় ১৫জন রোগী ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নেওয়া এসব রোগীদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. নাজমুল হাসান মাসুদ খাঁন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি আসছে। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অধিকাংশ। দূষিত পানি ব্যবহার, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে গ্রামের লোকেরা বেশি ডাইরিয়ার আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাঠকর্মিরা গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে একটু সচেতনতা বৃদ্ধি করলেই ডায়রিয়া সহজে এড়ানো সম্ভব।
হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়লেও স্যালাইন সংকট কারন জানতে চাইলে, পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ ফারুক আলম বলেন, আমাদের কোন স্যালাইনের সংকট নেই। উপজেলার প্রত্যেক হাসপাতালের চাহিদানুযায়ি মুখের ও রগ স্যালাইন চাহিদা পূরন করে থাকি। এতে কোন প্রকার বিলম্ব হয়না। সিভিল সার্জন আরো বলেন, সাধারন এই শুস্ক মৌসুমে খালবিলের পানি বেশি দূষিত থাকে। অসচেতন লোকেরা সেই পানি দ্ধারা থালাবাসন ধোয়া সহ একমাত্র পান ছাড়া সর্ব প্রকারের চাহিদা পূরন করে থাকে। মোট কথা পানি পান সহ ব্যবহারের সকল কাজে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহারে ডায়রিয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ