পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার বেড়া পৌর সদরের তেঘরী মহল্লায় এক শিশু স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার খালুর বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার এই শিশুকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই পাশবিক ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি ঐ উপজেলার সদরের এশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণী ছাত্রী। পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বেড়া উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল কাদের ফকিরের পুত্র আমিনুল ইসলাম বেড়া পৌর সদরের তেঘরী মহল্লার কাজেম ফকিরের মেয়েকে বিয়ে করার পর ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই মহল্লার পাশের বাড়ি থেকে তার ভাগ্নী ১০ বছরের শিশু স্কুল ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে তার খালু আমিনুল। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। ধর্ষণের পর ঘর থেকে বের হয়ে শিশুটি বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখে চিকিৎসক কারণ জানতে চাইলে শিশুটি ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বেড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক আমিনুল ইসলামকে আটক করে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে গতকাল বুধবার সকালে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষক আমিনুলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে হয়েছেন এলাকাবাসী ও তার আত্মীয় স্বজনরা । পুলিশ বলছে, মেডিক্যাল চেক-আপের পর যত দ্রæত সম্ভব এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাবনার বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।