Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রাবির আম-লিচু বাগানের অবৈধ দখলের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আম ও লিচু বাগানগুলো টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, রাবির আম-লিচু গাছ মিলে মোট ৭ টি বাগান রয়েছে। এ বাগানগুলোর মধ্যে ৪টি ট্রেন্ডার হলেও এখনো ৩টি বাগান ট্রেন্ডার হয়নি। এই তিনটি বাগানগুলোর মধ্যে রাবির মমতাজ উদ্দিন এবং শহীদুল্লাহ কলা ভরনের সামনে দুইটি আর রাকসু ভবনের সাথে একটি।
এদিকে গত ২৮ এপ্রিল গাছ থেকে লিচু পাড়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাদের মাধ্যমে মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। ঐ একই দিনেই লিচু গাছের জালে আটকে পড়েছিলো বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায় পাখি বসন্ত বাউরি। পরে ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাকসু কিংবা শহীদুল্লাহ ভবনের সামনের বাগনগুলোতে লিচু পাড়তে দেখলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেয় এবং ভয়ভীতি দেখায়। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের গাছ যেহেতু টেন্ডার হয়নি সেহেতু কেউই লিচু পাড়তে বাঁধা দেওয়ার অধিকার রাখে না। যদি কোন ছাত্রনেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাঁধা দেয়, সেটি অবশ্যই অনৈতিক কাজ। এদিকে রাজশাহী দূর্গাপুর এলাকার সুলতান নামের এক ব্যাক্তিকে রাকসু ভবনের বাগানে পাহারাদিতে দেখা গেছে। লিচু বাগান পাহারা দেওয়ার বিষয়ে সুলতানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করে সারোয়ার নামের নেতা তাকে এই বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রায় ৪-৫ দিন থেকে এই পাহারা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন তিনি।
এগ্রিকালচার অফিসের এক কর্মতর্তা জানান, ফাহিম আর রুহুল আমিন নামের দুই ঠিকাদারের কাছে বিনোদপুর গেট, প্রশাসন ভবনের পেছনের, পশ্চিম পাড়ার এবং গোরস্থানের পাশের আম-লিচুর এই চারটি বাগান ট্রেন্ডার দেওয়া হয়েছে। এখনো টেন্ডার হতে বাকি আছে, মমতাজ উদ্দিন এবং শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে দুইটি আর রাকসু ভবনের সামনের একটি বাগান। এই বাগানগুলো টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। তবে ছাত্রলীগ বাগান টেন্ডার নিয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে ঐ কর্মকর্তা জানান, টেন্ডার নেওয়ার জন্য দুইটি আবেদনপত্র জমে পড়েছে কিন্তু কারা আবেদন করেছে তা তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুষ্ময় জানান, সারোয়ার ও রাসেল নামের ক্যাম্পাসের দুই বড় এই বাগান ট্রেন্ডার নিয়েছে। বড় ভাইয়ের বাগান সূত্রে এই বাগান তিনি দেখাশোনা করছেন। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার এক বড় ভাই এই বাগানগুলো ট্রেন্ডার নিয়েছেন এবং সেই বড় ভাই তাকে বাগানগুলো দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে সারোয়ার ছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ ইবনে করিম রুপমকে আম-লিচু বাগানগুলোতে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর বলেন, তারা জানা মতে, সারোয়ার বা সুম্ময়ের কোন এক বড় ভাই টেন্ডার নিছে। কিন্তু ক্যাম্পাসের কোন ছাত্রলীগ নেতা আম-লিচু বাগান টেন্ডার নেইনি। তবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাবি আম-লিচু বাগান টেন্ডারের বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না। কে বা কারা এই বাগান টেন্ডার নিয়েছেন এবং ছাত্রলীগের কোন কোন নেতা এর সাথে জড়িত তাও তিনি জানেন না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ