পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দমোদর মোদি বলেছেন, সমতা ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ যে জীবন যাপন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) করেছেন, তা অনুসরণ করা সকল মানুষের দায়িত্ব। মহানবী জ্ঞান এবং সমবেদনাকে গুরুত্ব দিতেন। তাঁর মধ্যে এক ফোঁটাও অহংবোধ দেখা যায়নি। মানুষের সব ধরনের অহংবোধকে জ্ঞান একাই পরাজিত করতে পারে তিনি এটাই প্রচার করেছেন। গত রবিবার ‘মান কি বাত’ নামের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতি মাসে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। এতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। খবর ইকোনমিক টাইমস।
ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রিয় দেশবাসী, কিছুদিন পরেই রমজান মাস শুরু হবে। পুরো বিশ্বেই সম্মান আর শ্রদ্ধার সঙ্গে রমজান মাস পালন করা হয়ে থাকে। রোজা পালন হচ্ছে এমন এক সামাজিক ও সমষ্টিগত বিষয় যা একজন ব্যক্তিকে ক্ষুধার্ত থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করে। রোজা রাখলে একজন মানুষ অন্যজনের ক্ষুধার্ত অবস্থা বুঝতে পারে। যখন সে তৃষ্ণার্ত থাকে তখন সে অন্যের তৃষ্ণার্ত অবস্থা অনুধাবন করতে পারে। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা স্মরণ করার একটি বড় সুযোগ হলো রোজা।
মহানবী (সা:) এর সমতা ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জীবন যাপন অনুসরণ করা সকলের দায়িত্ব একথা উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার এক ব্যক্তি মহানবীকে (সা:) প্রশ্ন করেছিলেন- ইসলামের সবচেয়ে উত্তম জিনিস কী? উত্তরে মহানবী বলেন- একজন দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্থকে খাওয়ানো এবং আপনি কাউকে চেনেন বা না চেনেন সবার সঙ্গে আন্তরিক থাকা। মোদি আরো বলেন, মহানবী (সা:) এর শিক্ষা কারো যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিছু থাকে তবে তার উচিত অভাবগ্রস্থদের মাঝে সেগুলো বিতরণ করা। তাই রমজান মাসে দান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ এই পবিত্র মাসে উদারহস্তে দান করে থাকেন। তিনি (মহানবী (সা:) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন বস্তুগত সম্পদ কখনোই মানুষকে সম্পদশালী করতে পারে না। বরং অভ্যন্তরীন জ্ঞানই মানুষকে সম্পদশালী করে।
পবিত্র রমজান মাসে সব মানুষ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহানবী (সা:) এর বার্তা অনুসরণ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোদি। একই অনুষ্ঠানে বুদ্ধ পুর্ণিমা উপলক্ষে গৌতম বুদ্ধেরও প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।