বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারের উন্নয়ণমুলক চলমান কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ বিপাকে পড়েছেন। রড-সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে পুঁজি হারানোর ভয়ে দিন কাটাচ্ছে ওইসকল স্থানীয় ঠিকাদারগণ। ফলে ভৈরবের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্টসহ সরকারী বরাদ্ধকৃত অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ মাঝ পথে আটকে থাকায় বন্ধের পথে আনুমানিক দুইশত কোটি টাকার উন্নয়নমুলক কাজ। রাস্তা ও কালভার্টের কাজ সমাপ্ত করতে না পারার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে স্থানীয় এলাকাবাসীর। এদিকে উন্নয়নমূলক কাজগুলো বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কয়েক শত নির্মাণ শ্রমিকগণ।
সরকারের বরাদ্ধকৃত ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ করছেন মেসার্স মমিনুল হক নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। হঠাৎ রড়-সিমেন্টর দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার নির্ধারিত এক কোটি বিরান্নব্বই লাখ টাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাজ করতে গিয়ে মুনাফা দুরের কথা পুঁজি হারানোর আতংকে রয়েছে বলে জানান ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত¡াবধানকারী আরমান হোসেন চঞ্চল। এদিকে শাহ্ এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡াধিকারি এস এ শাহরিয়ার, মেসার্স রুপন্তী কনস্ট্রাকশনের সত্ত¡াধিকারি ওআর জুয়েল উপজেলার কালিকাপ্রসাদ আতকাপাড়া ও শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুরে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার রাস্তার কাজসহ এডিবির কাজ করছেন। ওই প্রতিষ্ঠিানের ঠিকাদার ও আর জুয়েল, এস এ শাহরিয়ারসহ বিভিন্ন ঠিকাদারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যে সকল চলমান কাজ করছেন তারা ওই সকল কাজ নেয়ার সময় রড়-সিমেন্টসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য সিডিউলে যা ছিলো বর্তমান বাজারমুল্য তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ অবস্থায় অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সরকারের দেয়া চুক্তিমত কাজ শেষ করতে হলে মুনাফা দুরের কথা প্রতি লাখে অন্তত ২০-২৫ হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হবে। এতে করে অনেক কাজই মাঝ পথে আটকে আছে আরার নতুন কাজে শুরু করতেও লোকশানের আশংকা রয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের দেয়া চুক্তিমূল্য বৃদ্ধি নয়ত নির্মাণ সামগ্রীর বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভৈরবের চলমান আনুমানিক ২শত কোটি টাকার উন্নয়নমুলক কাজ গুলো আলো মুখ দেখবেনা। ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু ইউসুফ জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্ধকৃত আনুমানিক ৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে স্বীকার করেন। ঠিকাদারদের তাগাদা দিয়ে চলমান কাজগুলো শেষ করানো যাচ্ছেনা। তবে ওই সকল চলমান কাজের সিডিউলের বাহিরে মূল্যবৃদ্ধি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কোন বিধান নেই বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।