Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অর্ধযুগ ধরে কর্ণফুলীতে লোকাল বোট বন্ধ

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে নুরুল আবছার চৌধুরী : কয়েক বছর আগেও রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী নদীর সুবিশাল বুকজুড়ে ছিল ইঞ্জিনচালিত বোটের অবাধ বিচরণ। থৈ থৈ রূপালি পানির ধারে ছিল খেয়া পারাপারের মুখরতা। নদীর ঘাটে ঘাটে সারাক্ষণ ছিল বোটের শব্দ। সড়ক ও যোগাযোগের উন্নতিতে ইঞ্জিনচালিত বোটের কদর কমে যায়। অর্ধযুগ ধরে রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী নদীপথে লোকাল বোট পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রাঙ্গুনিয়াজুড়ে প্রায়ই সবখানে কম-বেশি আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের আনাচে-কানাচে সবখানে সড়ক নির্মিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
কর্ণফুলী নদীতে যাত্রী সঙ্কটের কারণে ইঞ্জিনচালিত বোট বন্ধ করে দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের সাথে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার কোঁদালা, শিলক, সরফভাটা, পদুয়া ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ একযুগ পূর্বে ও নদীপথ ছিলই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার থেকে রাইখালী, কোঁদালা, শিলক পর্যন্ত লোকাল বোট চলাচল করত। উপজেলা সদর ইছাখালি থেকে সরফভাটা, শিলক ও কোদালা পর্যন্ত যাতায়াত এবং গোডাউন, গোছরা থেকে সরফভাটার চিরিংগা ফরেস্ট অফিস, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকায় নৌপথে ইঞ্জিনচালিত বোটে যাত্রীরা চলাচল করত।
সরফভাটা গ্রামের বোট মালিক সৈয়দুল হক বলেন, গোডাউন ব্রিজ হওয়ার পর থেকে নৌকা, সাম্পান ও ইঞ্জিনচালিত বোটের কদর কমতে শুরু করে। ব্রিজ হওয়ার পূর্বে শতশত নৌকামাঝি যাত্রী পারাপার করে সংসার চালাত। এ ছাড়াও বিগত কয়েক বছরে রাঙ্গুনিয়ার এমন কোনো জায়গা নেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়কপথ হওয়ায় মানুষের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সড়কপথে সহজেই দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় মানুষ গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে। নদীপথে মানুষের যাতায়াত কমে যাওয়ায় নৌকা ও বোট মালিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফুরিয়ে যাচ্ছে মাঝিদের সোনালি দিন। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ মাঝি-মাল্লা এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। একসময় উন্নত সড়কপথ না থাকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেও নৌকা, সাম্পান, বোট ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেই সোনালি দিন এখন আর নেই। চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী নদীর খেয়ার মাঝি রনজিত বলেন, চল্লিশ বছর ধরে নদী আর জলের সাথে ছিলাম। কিন্তু এখন ঘাটগুলোতে সারাদিন বসেও যাত্রী মিলে না। অপেক্ষায় অপেক্ষায় দিন চলে যায়। বাধ্য হয়ে এ পেশা ছেড়ে এন্য পেশায় যুক্ত হই।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ