Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাট জেলার উপর দিয়ে আকস্মিক এই ঝড় বয়ে যায়। এসময় নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে সদর উপজেলার উৎকুল গ্রামের মকসুদ হাওলাদারের স্ত্রী আফরোজা বেগমকে (৩৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার পোলঘাট গ্রামের মো. মুরাদ হোসেন বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। মুষলধারে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এসময় গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে। এতে আমার বাড়ির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, রাতে বাগেরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ও আধাপাকা বসতঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে। এছাড়া খুলনা-বরিশাল, খুলনা-মংলা ও বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে বড় বড় গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাতে মধ্যে এসব গাছ সরিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
তবে ঝড়ের কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ পাল বলেন, ঝড়ে বিদ্যুতের তারের উপর বড় বড় গাছপালা পড়ে থাকায় রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছপালা সরিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের অধিকাংশ লাইনের তার ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে আছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে আমাদের একাধিক দল কাজ করছে। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাট শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন জানান, বাগেরহাট সদর, কচুয়া ও ফকিরহাট উপজেলায় পাকা বোর ধানের ব্যাপক ক্ষতি বেশি হয়েছে। এছাড়া কলা, আমসহ অন্যান্য ফসলে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ