পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় পিছিয়ে পড়ছে দোহাজারী-গুনদুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। অধিগ্রহণকৃত জমি বুঝে না পাওয়ায় কার্যাদেশ দেয়ার পরও কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে সরকারের অগ্রাধিকারের এ প্রকল্পটি শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দুটোই বাড়ার আশঙ্কা করছে প্রকল্পে অর্থায়নকারী সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্মকর্তাদের দাবি, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের অর্থায়নসহ সব ধরনের আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। এখন সমস্যা শুধু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা।
চট্টগ্রামের দোহাজারী-গুনদুম রেলপথ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয় প্রায় ছয় মাস আগে। কিন্তু অধিগ্রহণের জমি বুঝে না পাওয়ায় কার্যাদেশ দেয়ার পরও মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হতে করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সমপ্রতি রেলওয়েকে দেয়া এক চিঠিতে প্রকল্পটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এডিবি।
সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে দেশের প্রধান পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বাড়াতে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে মিয়ানমারের গুনদুম সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে পাস হয় ২০১০ সালের ৬ জুলাই। শুরুতে সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় রেলপথটি ডুয়েলগেজ নির্মাণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে অনুষ্ঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা দিবে এডিবি এবং বাকি ৬ হাজার ৩৪ কোটি টাকার জোগান দিবে বাংলাদেশ সরকার। এডিবি প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪০০ কোটি, দ্বিতীয় ধাপে ৩ হাজার ২০০ কোটি, তৃতীয় ধাপে ৪ হাজার কোটি ও চতুর্থ ধাপে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দেয়ার কথা। এরই মধ্যে এডিবির অর্থছাড় শুরু হলেও জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় প্রকল্পের জন্য জমির প্রয়োজন ৩৬৪ দশমিক ৪৪ একর। ২০১০-১১ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মধ্যে রেলওয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে অধিগ্রহণের জন্য সর্বমোট ৭৫৪ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেয়। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলায় অধিগ্রহণকৃত ১ হাজার ২ দশমিক ৯৩ একর জমির জন্য ১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দেয়ার পরও জমির দখল দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। এতে করে শুরুতেই জটিলতার মুখে পড়েছে রেলের সবচেয়ে কাঙ্খিত দোহাজারী-গুনদুম রেললাইন প্রকল্প।কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে অধিগ্রহণকৃত ২১০ একর জমি রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকী জমিগুলো যতো তাড়াতাড়ি বুঝিয়ে দেয়া যায় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রসাশন। রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে এই প্রকল্প নিয়ে সরকার বেশ আশাবাদী ছিল। পরিকল্পনা ছিল বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে হলেও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চালু করা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিনও সে রকম আশার বাণীই শুনিয়েছিলেন। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে সে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেই মনে করছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।