পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালী অঞ্চলে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন তৎসহ সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী। নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা জেলার ৯টি উপজেলাকে সম্পৃক্ত করে নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রজেক্ট বাস্তবাযিত হলে বছরে অতিরিক্ত ৬ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন সম্ভব। এরমধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলা, ফেনী’র দাগনভূঁইয়া উপজেলা, লক্ষীপুর সদর ও রামগঞ্জ উপজেলা এবং কুমিল্লা জেলার লাকসাম ও নাঙ্গলকোর্ট উপজেলার সমন্বয়ে ইরিগেশন প্রজেক্টের উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে ।
উল্লেখ্য, বিগত সত্তর দশকের শেষ দিকে নোয়াখালী ইরিগেশন প্রজেক্ট চালুর কথা সর্বমহলে প্রচারিত হয়। বিশেষ করে এতদ্বঞ্চলে জলাবদ্বতা দূরীকরন এবং অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করে নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়। এরপর সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের শাসনামলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী নোয়াখালী সফরে এসে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। কিন্তু এরশাদ সরকারের আট বছর শাসনামলে ভোটের রাজনীতির ফাঁদে প্রকল্পটি সীমাবদ্ব ছিল। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিশ্রæত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন অনেক মন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে জেলার সর্ব মহল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবী উঠে । ২০০১ সালে বিএনপি তথা চার দলীয় জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর সকলের ধারণা ছিল এবার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে বিষয়টি পূণঃরায় ধামাচাপা পড়ে। বর্তমান মহাজোট সরকারের প্রথম পাঁচ বছর এবং পরবর্তীতে প্রায় চার বছর অতিবাহিত হবার পথে। কিন্তু নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রজেক্ট ইস্যুটি তিমিরে থেকে গেছে। দীর্ঘ চার দশকে প্রকল্প ফাইলটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া না গেলেও ৪টি জেলার এক কোটি অধিবাসী চরমভাবে হতাশ।
স্বরণীয় যে, নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে ৯টি উপজেলার কমপক্ষে দুই লাখ হেক্টর জমি সেচ সুবিধার মাধ্যমে বছরে অন্তত ২টি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়া রবিশস্য, শাকসবজী ও তরিতরকারী স্থানীয চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা যাবে। অন্যদিকে প্রকল্পের আওতাধীন এলাকায় মৎস সম্পদ উৎপাদন সহজতর হবে। ইরিগেশন প্রজেক্ট ঘিরে এতদ্বঞ্চলে কমপক্ষে অর্ধ লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হবে। কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ নোয়াখালীর উপ পরিচালক ড. মো. আবুল হোসেন ইনকিলাবকে জানান, চলতি মৌসুমে নোয়াখালীতে ৭৩ হাজার হেক্টরে বোরো চাষ হয়েছে। এতে ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আরো দুই লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। এতে অতিরিক্ত ৬ লক্ষাধিক মেট্রিক টন বোরো উৎপাদন সম্ভব। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার কৃষি সেক্টরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। যার সুবাদে আধুনিক চাষাবাদ ও সেচ সুবিধার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এমনকি বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তেমনিভাবে নোয়াখালী নর্থ ইরিগেশন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে এতদ্বঞ্চলে কৃষি সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হাতছানি দিচ্ছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।