পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে মামলা ও গ্রেফতার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আমি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করব, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলেই তার সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে যেন তাকে গ্রেফতার করা না হয়। যদি আগামীতে পুলিশ এমন ধরনের নালিশ পায়, পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অনুসন্ধান করে অভিযোগ সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যেন ব্যবস্থা নেয়। এমন ভুল সরকারের কাম্য নয়। এমন ভুল যদি ভবিষ্যতে হয়, তাহলে যার দ্বারা হবে; তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল দুপুরে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারার মামলাও যেটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে যদি বিশেষ সেল অনুমতি দেন তাহলে মামলা হবে। পুলিশ প্রশাসনে অনুরোধ করব আপনার এর সঠিবভাবে অনুসন্ধানের আগে মামলা রুজ্জু অথবা গ্রেফতার করতে পারেন না। তিনি বলেন, যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা উৎসাহী হয়ে গ্রেফতার করেন, তবে সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। আর এর জন্য পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কাজ না করতে পুলিশের প্রতি আহŸান জানান মন্ত্রী। বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাসরুফকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটি আসলে একটি বিব্রতকর ঘটনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যদি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না-ও থেকে থাকে, তাহলেও তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।। তিনি বলেন, তারেক রহমানকে আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক নন। এইপ্রেক্ষাপটে তারেক রহমান যদি ভবিষ্যতে নাগরিক হতে চান, তাহলে তিনি তা পারবেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে যদি আপনি থাকেন এবং আপনার যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনার নাগরিকত্ব অ্যাফেকটেড হয় না। পাসপোর্ট হচ্ছে ট্রাভেল ডকুমেন্টের মত, আপনাকে বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। বাইরে গিয়ে আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক এই পাসপোর্টই কিন্তু সেটার আইডেনটিটি।
মন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি, তিনি যুক্তরাজ্যে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। তার মানে তারেক বলছেন, তিনি আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চান না। এখন তারেকের অবস্থান হচ্ছে, তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তার মানে তিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ডিনাই করেছেন। মন্ত্রী বলেন, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাক্টের অধীনে তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তারেক রহমানকে আপাতত বাংলাদেশের নাগরিক নন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিক হতে চান, তাহলে তিনি তা পারবেন বলেও মনে করেন আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য ও ছবি প্রচারের ব্যাপারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার পরও যেসব প্রচারমাধ্যম তাঁর বক্তব্য ও ছবি প্রকাশ করছে, সেটা আদালত অবমাননার শামিল। সংবাদ সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।