Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারও ক্ষমতায় আসতে আ.লীগ নেতারা দিল্লিতে দৌড়ঝাঁপ করছে -রিজভী

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ নেতারা আবারও দিল্লিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা সদলবলে ভারতে গিয়েছিলেন কী ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেনদরবার করতে? বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার জেনে গেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ২০-২২টির বেশী আসন পাবে না। তাই একতরফা নির্বাচনের পক্ষে নাক গলাতে তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে, শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।” আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, হানিফ সাহেবের বক্তব্যে কী প্রমাণ হলো আপনারা সদলবলে ভারতে গিয়েছিলেন কী ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেনদরবার করতে? তার বক্তব্যে জাতির সামনে ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে আসলো, গণতন্ত্র বিধ্বংসী আওয়ামী লীগের পকিল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। দেশকে গণতন্ত্রহীন করে আওয়ামী সরকার সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে গোটা দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু জনগণ এবার আর বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। হানিফের বক্তব্যকে ‘সুখস্বপ্ন’ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, এটা স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের যথার্থ প্রতিধ্বনি। সরকার যে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য সেটিরই বহিঃপ্রকাশ। এই বক্তব্যে গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়ে বাকশাল পুরোদমে চালু রাখার ইঙ্গিতবাহী। দেশজুড়ে বেকারত্ব, রাজনৈতিক মতপ্রকাশে স্বাধীনতাহরণ, লুটপাট ও দমননীতির বেপরোয়া উত্থানকে আরও দীর্ঘায়িত করা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনী কারাবাসে আটকে রেখে তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে তাঁর অসুস্থতা তীব্র থেকে তীব্রতর করার এক ভয়ঙ্কর মাস্টারপ্ল্যানের যে অংশ, তা হানিফ সাহেবের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে মানুষের উদ্বিগ্ন মনকে অন্যদিকে নিবদ্ধ করার জন্যই সরকারের নানা কারসাজির মধ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্ভট, ভুয়া ও হাস্যকর প্রশ্ন তোলা আরেকটি কারসাজি।
তারেক রহমানের পাসপোর্ট জমা ও নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে সরকার নানাভাবে অপপ্রচারের ধ¤্র্রজাল সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে বিএপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্রের যেন শেষ নেই। তারেক রহমানকে নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়া সকল ডকুমেন্টস সরিয়ে নিয়ে এখন বলছেন তার ফেইসবুক হেকড হয়েছে। মূলত প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করে তিনি সবার কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র ও তদবির করে ব্যর্থ হয়ে তাঁর কেবিনেটের প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করাচ্ছেন। দেশের মানুষের সমালোচনা ও প্রত্যাখানের মুখে শাহরিয়ার আলম তার ফেইসবুক থেকে উপস্থাপিত কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। বিনা ভোটের সরকারকে সবসময় জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েই চলতে হয়। আমি পরিস্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি। যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে শত শত দেশের নাগরিকরা যেভাবে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) নিয়ে অবস্থান করেন সেভাবেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টে পলিটিক্যাল এসাইমেন্টের জন্য তাঁর পাসপোর্টটি জমা দিয়েছেন, সারেন্ডার করেননি।
বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা কিভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন সে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাই, আপনি কিভাবে দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন? রাজনৈতিক আশ্রয়ে কিভাবে ছিলেন? আপনার ছোট বোন শেখ রেহানা কিভাবে ব্রিটেনে অবস্থান করেছিলেন? গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেখতে পেলাম। জাতির সামনে এর জবাব দিবেন কী? সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল লতিফ, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকাদার, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

 



 

Show all comments
  • AI ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:২১ পিএম says : 0
    Must follow Delhi to be in Power. India is too strong to give guidance. They will not leave 14 to 20 billion dollars customer. Now Bangladesh is the life line of India's economy. Market for all low grade Indian's goods. Very soon India will do the same to Pakistan as well.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ