Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৫ শিক্ষককে পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৫ সহকারী শিক্ষককে পিটিয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জেল হোসেন। এ ঘটনায় ফুসে উঠেছে স্কুলের শত শত শিক্ষর্থী। মঙ্গলবার দিনব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ বর্জন করে। এ সময় তারা পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে হাটফাজিলপুর বাজার অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সভাপতির ক্যাডার বাহিনী তাদের উপর হামলা হামলা চালায়। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা দুলাল বিশ্বাসের লোক হওয়ায় সভাপতি তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপানন্দ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক শ্যামল বিশ্বাস, আজিজুল ইসলাম, উত্তম কুমার অধিকারী ও আবুল বাশারকে মারধর করে। মারধরের পর লাঞ্ছিত শিক্ষকদের বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির তোফাজ্জেল হোসেন ও তার ক্যাডার বাহিনী। এর আগে বিদ্যালয়ের আয়া রাশিদা খাতুনকেও সভাপতি লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষক উপানন্দ কুমার জানান, তোফাজ্জেল হোসেন বছর দেড়েক হলো হাটফাজিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই দায়িত্বে অবহেলা, বিদ্যালয়ের অর্থলোপাট, শিক্ষকদের সাথে অসদারচণ করেন। তিনি আরো জানান, সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন রাগান্বিত অবস্থায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর মিটিংএর কথা বলে প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে সকল শিক্ষকদের ডেকে পাঠায়। মিটিংয়ের শুরুতেই তিনি তার হাত খরচের টাকা দাবী করেন শিক্ষকদের কাছে। কিন্তু টাকার অংখ বেশী হওয়ার কারণে শিক্ষকরা দিতে অপারগা প্রকাশ করেন। মুহূর্তেই অগ্নিশর্মা হয়ে সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন শিক্ষকদের পেটাতে থাকেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, তোফাজ্জেল হোসেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষকদের জিম্মি করে সকল অর্থ লোপাট করে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে স্কুল সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, শিক্ষকরা যে তথ্য দিচ্ছেন তা সত্য নয়। হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস,আই খাইরুজ্জামান জানান, ছাত্রদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনে সকাল থেকেই স্কুলে পুলিশ অবস্থান করছে। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি জানান, ঘটনা শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন শিক্ষক লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনা খুবই লজ্জাজনক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ