Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেড়িবাঁধে শতাধিক ছিদ্র

কয়রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীভাঙন

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কয়রা (খুলনা) থেকে মোস্তফা শফিক : সুন্দরবন উপকুলীয় জনপদ কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারে বেড়িবাধের শতাধিক স্থানে ছিদ্র করে বাঁধের তলদেশে পাইপ ঢুকিয়ে পানি ওঠা নামায় নদী ভাঙনের তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এক শ্রেণির চিংড়ি চাষীরা আইনের তোয়াক্কা না করে পাইপের সাহায্যে নদী থেকে পানি তুলে সারা বছর অবৈধ চিংড়ি চাষে ব্যাস্ত রয়েছে। অব্যহতভাবে পাইপের মুখদিয়ে পানি উঠানামার কারণে নদীর চর ভেঙে সিংহভাগ রেড়িবাঁধে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণ বেদকাশির চরামুখা, গোলখালি, আংটিহারা, উত্তর বেদকাশি হরিহরপুর, কাটকাটা, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাশিরহাট, কয়রা সদরের হরিনখোলা, ঘাটাখালি, ৬নং কয়রা, মহারাজপুরের দশহালিয়া, মঠবাড়ি, মহেশ্বরীপরের কালিবাড়ি-সহ অর্ধশত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বীলিন হওয়ার উপক্রম। ভাঙনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় বেড়িবাঁধ খাড়া ও নিচু হয়ে গেছে। পাউবোর ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারের শতাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ ঢুকিয়ে লবন পানি উত্তলন করছে ঘের ব্যবসায়ীরা। সূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালে পাউবোর বানিয়াখালি পওর শাখা কর্তৃক নোটিশ জারি করা হয়। তবে সেটা কাগজ কলমেই শুধু সীমাবদ্ধ ছিল। যার বাস্তবাতার সাথে কোনো মিল নেই। ভয়াল ২৩ মে কয়রা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন লবন পানিতে প্লাবিত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিলো শতাধিক স্থানে বেড়িবাঁধের তলদেশে পাইপ ঢুকিয়ে লবন পানি উত্তোলন করার কারন যে স্থানে ছিদ্র করা হয় সেই স্থানের মাটি স্যাঁত স্যাতে হয়ে যে কেনো মুহর্তে ধ্বসে পড়ে যায়। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, আগামী এপ্রিল মে মাসে প্রচন্ড জুয়ারের পানি ও ঝড় তুফান হলে এই সমস্ত দূর্বল স্থানগুলো ভেঙে কয়রা উপজেলা লবন পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে এসব অবৈধ ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ দুটি পোল্ডারের ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার জোর দাবী করেছে এলাকাবাসী ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ