বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাস চালক মো: আব্দুস সালাম (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রুয়েটের শেখ হাসিনা হলের পাশে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রæত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) নেয়ার পথে রাত ১১ টার দিকে মারা যান। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে হাসিবুল ইসলাম পলাশ বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেনে। নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন দেবিশিং পাড়া এলাকার মৃত কুবাতের ছেলে সালাম (৫৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর কোয়াটারে থাকতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসে কর্মচারীদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন কর্মচারীরা। তারা সেখানে সালামের হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জোর দাবি জানান তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি সেকশনের সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের পুকুর পাড়ে পাশ দিয়ে কর্মচারীর কোয়াটারের দিকে একটি রাস্তা গেছে। সেই পুকুর পাড়ের পাশে গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায় কর্মচারীরা। আমাকে জানালে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। সেখানে গিয়ে দেখি লাশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রাইভার সালামের। পরে পুলিশ প্রসাশনকে ঘটনাটি জানানো হয়।
নগীরর মতিহার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, দুর্বৃত্তরা লাশের ছুড়ির দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। লাশের মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, রুয়েটের মধ্যে বাস রেখে হেটে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে ৮নং ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মাথায় ও শরীরে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।