পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ভাল মানুষ হতে হলে ভাল বই পড়তে হবে। ভাল বই পড়ার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরিতে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। গতকাল (সোমবার) ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ’আলোকিত প্রজন্মের জন্য সৃজনশীল বই পড়ার গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ২৫০টি উপজেলায় ১২ হাজার ১১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৭ পর্যন্ত ৮৩ লাখ ছাত্রছাত্রী বই পড়ার সুযোগ পেয়েছে। স্কুল-মাদরাসার লাইব্রেরিগুলোতে ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার বই দেয়া হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে আরো ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার কপি বই বিজয়ী পাঠকদের দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ২৫০টি উপজেলার ১৪ হাজার সহকারি লাইব্রেরিয়ান/সহকারি শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাহিদ বলেন, বিশ্ব বই দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বইপড়া কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রায় ১০ হাজার উদ্বুদ্ধকরণ সভা আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া লাইব্রেরি উন্নয়নের পরিকল্পনাসহ দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ এবং বইপড়ার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মনজুর হোসেন, কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কো-টিম লিডার শরীফ মো. মাসুদ এবং টিভি ব্যক্তিত্ব আব্দুর নূর তুষার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবদুল মান্নান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।