পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী ব্যুরো : ঢাকা - নোয়াখালী রেলপথে দ্রুত যোগাযোগ তৎসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার নিয়ে চলাচলকারী আন্ত:নগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আন্ত:নগর এক্সপ্রেস বলা হলেও নোয়াখালী থেকে ঢাকা পর্য্যন্ত ১১/১২ টি রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি, রেল ক্রসিং এবং পথিমধ্যে ট্রেনের গতি কমিয়ে যাত্রী উঠানামা নিত্যকার বিষয়। এছাড়া ট্রেনের প্রতিটি বগিতে ময়লা আবর্জনা, তেলাপোকা, ছারপোকা এবং ইঁদুর দৌড় লক্ষণীয়। এসব কারণে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন কখনো নিদ্দিষ্ট সময় তার গন্তব্যস্থলে পৌছতে পারছেনা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল ঢাকা থেকে মঙ্গলবার ও নোয়াখালী থেকে বুধবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। অনান্য দিন নোয়াখালী থেকে সকাল ৬ টা এবং ঢাকা থেকে বিকাল ৩-২০ মি. গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ১৪ / ১৫টি বগি সমন্বয়ে উপকূল এক্সপ্রেসের ১টি এসি বগি, ১টি প্রথম শ্রেণীর কেবিন, ২টি চেয়ারকোচ এবং ১১/১২টি শোভন বগি থাকে। এতে করে প্রায় ৮/৯শত যাত্রী বহন করা হয় বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। নোয়াখালী ঢাকা রেলপথে এমনিতেই যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় থাকে। বিশেষ করে এতদ্বঞ্চলের যাত্রীরা সড়কের পরিবর্তে রেলপথকে অধিক নিরাপদ মনে করে থাকে। উপকূল এক্সপ্রেসে আসন স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন শত শত যাত্রী দাঁড়িয়ে পথ অতিক্রম করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা - চট্রগ্রাম, ঢাকা - সিলেট, ঢাকা - রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে দ্রæতগামী অত্যাধুনিক ট্রেন চালু করলেও নোয়াখালী রুটে যাত্রীদের অত্যাধিক চাহিদাকে কখনো গুরুত্ব দিচ্ছেনা। উপরোন্ত নানাবিধ সমস্যা জর্জরিত আন্ত:নগর উপকূল এক্সপ্রেস কখনো নির্দ্দিষ্ট সময় গন্তব্যে পৌছতে পারেনা। জানা গেছে, সকাল ৬টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ১১-৫০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌছার সিডিউল টাইম থাকলেও এ যাবত নিদ্দিষ্ট সময় পৌছার রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তেমনিভাবে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিকাল ৩-২০ মি. নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন ২১-৫০ মি. নিদ্দিষ্ট স্থানে কখনো পৌছা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী ঢাকা সড়ক পথে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ, দুর্ঘটনা ও যানজটসহ নানাবিধ সমস্যার কারনে নোয়াখালী অঞ্চলের অধিবাসীরা রেল ভ্রমণকে অধিক নিরাপদ মনে করে। ফলে নোয়াখালী-ঢাকা রুটের জন্য বরাদ্দকৃত একমাত্র উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে সব সময় যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় লেগেই থাকে। এ সমস্যা দূরীকরণে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে আরো একটি ট্রেন বৃদ্ধি করা গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। অপর ট্রেনটি বিকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং সকালে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে চলাচল করলে নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। এদিকে নোয়াখালীর কয়েকজন পেশাজীবী ইনকিলাবকে জানান, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলে নোয়াখালীর হাজার হাজার রেলযাত্রীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।