পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জীবননাশের শঙ্কাসহ নানা আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই সময় বেঁধে দেন। নিরাপত্তার শঙ্কায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হননি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহŸায়ক হাসান আল মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক নূরুল হক। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও ভিসির বাসায় ভাঙচুরের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। মামলার শুরু থেকেই আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছিলেন, এসব মামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি শিকার হতে পারেন। তাই আগামী সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করলে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করার কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানি আশঙ্কা থাকায় মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এবং সক্রিয় ভূমিকা পালনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করছি।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম আহŸায়ক ফারুক হোসেন, রাশেদ খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসির বাসায় হামলাকে কিছু দুষ্কৃতকারীর বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে ও সংবাদপত্রের খবর এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষীর তথ্য নিয়ে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিন। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো অজ্ঞাতনামা মামলা রাখা যাবে না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা দোষীদের জিজ্ঞেস করলে সহজেই অপরাধীরা ধরা পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই আন্দোলনে নেতৃত্বধানকারী ও সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষককে অনুরোধ করছি। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অতিদ্রæত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।