Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেওয়া হবে এনবিআর

আসছে বাজেট

| প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিয়ে এবারের বাজেট হবে। যারা বিদেশ থেকে নিম্নমানের পণ্য এনে বাজার সয়লাব করে-তা বন্ধ করা দরকার। তবে পুরোপুরি আমদানি বন্ধ করা যাবে না। আমরা দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে চাই। গতকাল বুধবার এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যালস, কম্পিউটার, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এনবিআর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমদানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবারের বাজেটে হয়তো এতটা ছাড় দেওয়া যাবে না। তবে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে করপোরেট করসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার চিন্তা আছে। অনেকে বলছেন কর করপোরেট কমালে রাজস্ব কমে যাবে। তবে আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে দেশীয় শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানিতেও দেশ এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটা অত্যন্ত খুশির খবর যে অনেকেই শিল্প স্থাপনের দিকে আসতে চাইছেন। আমরাও চাই দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটুক। সেক্ষেত্রে রাজস্ব ছাড় দিয়ে হলেও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু তাই নয়, আমরা চাই দেশীয় শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানিতে যেন যেতে পারে। কারণ দেশে যে বেকার সমস্যা আছে তার সমাধান দরকার।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে জিডিপির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় রাজস্ব আয় কমলে হবে না। প্রতি বছর আমাদের রাজস্ব আয় ১২ থেকে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার আশা করছি আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা একটু কমানো হতে পারে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, অনেকে বলছেন কর করপোরেট কমালে রাজস্ব কমে যাবে তবে আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিকাশে আমরা করপোরেট কর কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে বলে সিপিডির এমন বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এতটা হয়ত ঘাটতি হবে না। এখনো তিন মাস সময় আছে। সাধারণত রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে শেষ সময় আদায় বেশি হয়। সে হিসেবে এ সময় রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য করতে ভ্যাট আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
এ ছাড়া আইটি খাতে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা, ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট বাজেটের পাঁচ শতাংশ প্রযুক্তি খাতে খরচের বাধ্যবাধকতা রাখা, উৎসে ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু প্রস্তাব পেশ করে সংগঠনটি।
প্রস্তাবনাগুলো হলো-২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট বাজেটের পাঁচ শতাংশ আইটি খাত অন্তর্ভুক্তকরণ, সেবার ওপর উৎসে মূসক প্রত্যাহার, ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট এক মাসের মধ্যে আবেদনকারীকে হস্তান্তর করা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার বা আইটি এনাবেল্ড সার্ফিসেসের আয়ের ওপর কর্তনকৃত অগ্রিম আয়কর ফেরত, ইন্টারনেট ইন্টারফেস কার্ড, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ সব ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টের ওপর বর্তমান আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারসহ আরো কিছু দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। ###

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ