পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রডের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে বিরুপ প্রভাব পড়েছে দেশের উন্নয়ন কাজে। সরকারী-বেসরকারী সব ধরনের উন্নয়ন কাজ থমকে আছে। জুন মাসকে সামনে রেখে বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। জুনে কারও কাজ শেষ হবে, কেউবা বিল পাবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রডের মূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশে শিক্ষা প্রকৌশল, এলজিইডি, সওজ, গণপূর্ত, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার উন্নয়ন কাজ থমকে আছে। এছাড়া সম্ভাবনাময় আবাসন খাতেও দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য উপায় খুঁজছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদাররা। এ প্রসঙ্গে এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল হাসান বলেন, তিনটি উপায়ে এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। প্রথমত: সরকার বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রড ব্যবসায়ীদের সাথে বসে আলোচনা করে মূল্য বৃদ্ধির কারন খুঁজে বের করা উচিত। কেন বাড়লো, কতো বাড়লো তা হিসাব করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটা দর নির্ধারণ করে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত: ২০০৮ সালে রডের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সময় সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার যেভাবে কমিটি করে দিয়েছিল সেভাবে একটা কমিটি করে রড সিমেন্টের দাম কতো বেড়েছে- সে হিসাবে ঠিকাদারদের জন্য অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে। এই দুটোতেও যদি সমাধান না হয়, তাহলে এডিবির অংশ কর্তন করে ঠিকাদারদের অপশন দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলেও ঠিকাদারদের কোনো জরিমানা করা যাবে না। একই সাথে বাকী কাজ সম্পন্নের জন্য নতুন করে দর নির্ধারণ করা যেতে পারে। এলজিইডির সাবেক এই প্রধান প্রকৌশলী বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার উপর। সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো উপায়ে এটার একটা সমাধান বের করতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রডের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে সারাদেশেই উন্নয়ন কাজ থমকে আছে। কোথাও ব্রিজের কাজ, কোথাও রাস্তার কাজ, ড্রেনের কাজ। কোথাওবা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ। হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধিতে ঠিকাদারদের মাথায় যেনো বাজ পড়েছে। অনেকে কিভাবে কি করবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তা করতে করতে কাজই বন্ধ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা ইনকিলাবকে বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে। রডের মূল্য বৃদ্ধিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়নি, তবে কাজের গতি কমে গেছে। তিনি বলেন, প্রথম দফায় যেভাবে রডের দাম বেড়েছিল তাতে অনেক ঠিকাদারই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে দুই দফা দাম কমে যাওয়ায় এখন অনেকটাই সহনীয় পর্যায় এসে গেছে।
এদিকে, সারাদেশে এলজিইডির কাজে দারুন ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানা গেছে। সাতক্ষীরায় আটকে আছে সড়ক কার্পেটিং, ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কার, সাইক্লোন শেল্টার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ স্কুলের নির্মাণকাজ। স্থানীয় একজন ঠিকাদার জানান, চলতি অর্থবছরে নির্মাণ কাজের সরকারি দর কমে যাওয়ায় টেন্ডারে অংশ নেননি ঠিকাদাররা। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় জেলার ৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম। সমঝোতার মাধ্যমে সে সমস্যা থেকে উত্তরণের কয়েক দিনের মধ্যেই রডের মূল্য বৃদ্ধিতে নতুন করে উন্নয়ন কাজ থেমে গেছে। এলজিইডির একজন প্রকল্প পরিচালক জানান, রডের কারনে মূলত ব্রিজ ও কালভার্টের কাজ আটকে আছে। যে সব ঠিকাদার আগে থেকে রড কিনে রেখেছিলেন তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর যাদের আগে রড কেনা ছিল না, তাদের কেউ কেউ কাজ বন্ধ রেখেছেন অথবা ঢিমেতালে কাজ করছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একজন ঠিকাদার জানান, জানুয়ারী থেকে দক্ষিণের ড্রেনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে এ মাসের শুরুতে থেমে গেছে। রডের কারনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা পড়েছেন চরম বিপাকে। ওই ঠিকাদার বলেন, আমরা না পারছি কাজ চালিয়ে যেতে, না পারছি থেমে থাকতে। তিনি বলেন, সামনে জুন মাস। জুনের মধ্যে অনেক এলাকার কাজ শেষ হওয়ার কথা। তাতে যে বিল পাওয়া যাবে সেই বিলের টাকা দিয়ে আরও কাজ করতে হবে। এখন কাজ শেষ না করলে বিল পাওয়া যাবে না। এজন্য আমরা চাচ্ছি কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পেতে। কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুর করবে কি না তার উপর আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে। জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, কাজ শেষ না করে বিল দেওয়ার এখতিয়ার কারো নেই। সিডিউলের শর্তের বাইরে কারও যাওয়ার সুযোগ নেই। রডের দাম যাই হোক, চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করেই ঠিকাদারদের বিল নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।