পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিকল্পধারার সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারের যুক্তিহীন ও গণতন্ত্রবিমুখ পদক্ষেপের জন্য মানুষ আশংকায় আছে সত্যিকারের সঠিক নির্বাচন হবে কি না? নির্বাচনে সমন্ত রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করতে পারবে কি না? জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে দেশবাসী। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ দলের কুড়িল বিশ্বরোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ দেশবাসীর জন্য নিরাপদ বয়ে আনুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র যেভাবে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে তাতে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ শংকিত না হয়ে পারে না। দেশে জীবনের নিরাপত্তা নেই, আজ আছি কাল বেঁচে থাকবো কি না জানি না। অনেকে বলেন এটা পুলিশি রাষ্ট্র, যতদিন গণতন্ত্র উন্মুক্ত না হয় ততদিন মানুষের মনে এই সন্দেহ থাকবে।
বি. চৌধুরী বলেন, এটা নির্বাচনের বছর কিন্তু সরকারের যুক্তিহীন গণতন্ত্রবিমুখ পদক্ষেপের জন্য মানুষ আশংকায় আছে সত্যিকারের সঠিক নির্বাচন হবে কি? না ৫ জানুয়ারির মতো ‘নির্বাচন খেলা’ হবে? নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করতে পারবে কি না? প্রবীণ এই পার্লমেন্টারিয়ান বলেন, আমরা এমন দেশ চাই নাই যেখানে আমাদের আন্দোলনরত ছাত্ররা যারা দেশকে এতো ভালোবাসে, যারা দল নিয়ে কথা বলেনি, বলেছে নিজেদের দাবির কথা। আমাদের সেইসব সন্তানদের সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের বাচ্চা’ তখন কলিজার মধ্যে লাগে, কোথায় আছি আমরা? এমন একজন মানুষ এ কথা বললেন যাকে আমি এককালে শ্রদ্ধা করতাম, আমার চেয়ে তার বয়স কম হলেও তার নিয়মনীতি ভালো, তার মধ্যে বিদ্রোহী চেতনা আছে, স্বাধীনতার চেতনা আছে। কিন্তু সেই তিনিই স্বার্থের জন্য নেত্রীকে, দলকে খুশি করার জন্য আমাদের দেশপ্রেমিক সন্তানদের সংসদে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দিলেন, অথচ স্পীকার এখন পর্যন্ত বলেন নাই শব্দগুলো এক্সপাঞ্জ করার কথা। আমরা দাবি জানাচ্ছি, শব্দগুলো অবিলম্বে এক্সপাঞ্জ করা হোক এবং মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে সবার সমনে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক। তিনি বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই যেখানে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, সেই নিশ্চয়তা থাকতে হবে। তিনি গণতন্ত্রের বিজয়ের সংগ্রাম পাহাড় ও সমতলের মানুষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, ও খ্রীস্টান স¤প্রদায়ের বৃহত্তর ঐক্য কামনা করেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না ঃ আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৪৭ বছরে এই দেশ সোনার বাংলা হওয়ার বদলে হয়েছে হাইজ্যাকার, লুটপাট এবং গুম-খুনের দেশ। এখানে গণতন্ত্র নাই, আছে ক্ষমতা জবরদখলকারী, আর যারা ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাদের করা হয় পদাঘাত। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র, মানুষের কল্যাণ এবং একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করার ব্রতই হোক বাংলা নববর্ষ ১৪২৫-এর প্রধান শপথ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইউসুফ, বেগ মাহাতাব, হাফিজুর রহমান ঝান্টু, ওয়াসিমুল ইসলাম, যুবধারার সভাপতি ওবায়েদুর রহমান মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাচ্চু, জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।