পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
[জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃত্বে আলেম সমাজের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন]
দেশের মাদরাসা শিক্ষা এখন অন্যরকম উচ্চতায়। মাদরাসা থেকে পাস করে ছেলেমেয়েরা সরাসরি সব ধরণের কর্মে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের সার্টিফিকেটধারী চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে মাসরাসা পাস করা ছাত্রছাত্রীরাও সরাসরি প্রতিযোগিতা অংশ নিচ্ছেন; এবং সাফল্য দেখাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সহায়তা এবং অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন ও উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে যাওয়ায় নতুন এই প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এখন অনেক বৃত্তবান ঘরের ছেলেমেয়েরাও মাদরাসা শিক্ষার দিকে ঝুকে পড়ছেন।
১৯২১ সালে বৃটিশ শাসনামলে এই অঞ্চলের মুসলমানদের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এটিই ছিল অঞ্চলের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তারও অনেক আগে (এখন থেকে শত বছর) মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেন এদেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখগণ। শতবছরের সেই দাবি আরও জোরালো করে তোলেন মাদরাসা শিক্ষকদের একক ও অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ)। পরবর্তীতে সেই দাবিকে বাস্তবে রূপদান করেন জমিয়াতের বর্তমান সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মাদরাসা শিক্ষা আধুনিকায়নের ঘোষণা দেয়। শিক্ষানীতিতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দ্রুত এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেন। গত ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত আলেম-ওলামাদের সাথে আলোচনার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ি ২০১৩ সালের ৬ আগস্ট মাসে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রী সভায় অনুমোদনের পর একই বছর ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিল-২০১৩। বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কোন ধরণের বিরোধিতা ছাড়াই বিলটি অনুমোদন করেন জাতীয় সংসদের সদস্যগণ। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ করা হয়। আর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয় একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর। এর ফলে বদলে যায় মাদরাসা শিক্ষার ধারা। দৃশ্যমান হয় শতবছরের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের স্বপ্ন। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে ৯২ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশের মাদরাসা ও ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন-গবেষণায় সৃষ্টি হয় ঐতিহাসিক মাইলফলক। অবসান হয় এদেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও ইসলাম প্রিয় মানুষের বহু বছরের অপেক্ষা-প্রতীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় শতবছর আগে ব্রিটিশ আমলে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব ওঠার পর পাকিস্তান আমলে তা হয়নি। বাংলাদেশ আমলেও দীর্ঘদিন এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমান সরকার, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, জমিয়তে তালাবা, আঞ্জুমানে তালামিযে ইসলামীয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনাসহ দেশের মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন, পীর-মাশায়েখ বিশেষ করে আব্দুল লতীফ ফুলতলী (রহঃ) এর ঐতিহাসিক লংমার্চ, শর্র্ষিণার পীর ছাহেব সহ অসংখ্য পীর মাশায়েখ, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সংস্থার অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শতাব্দীকালের আন্দোলনকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। যা আলেম সমাজ, পীর মাশায়েখ তথা এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ দেশের আলেম সমাজ ও দীনদার মুসলিম জনতা চায় এ বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্য আলেমদের দ্বারা পরিচালিত হোক। সুশিক্ষার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্য ওয়ারিশেনবী তৈরি করে দেশ-জাতির খেদমত করার সুযোগ করে দেবে।
আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম: ইতোমধ্যে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে আলেম-ওলামাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদরাসা শিক্ষাধারার ফাজিল/স্নাতক ও কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রী প্রদান করা হবে। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, ফাজিল/স্নাতক, কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাক্রম/পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষাঙ্গনগুলোর তদারকি ও পরিবীক্ষণ এবং পরীক্ষা পরিচালনাসহ সার্বিক তত্ত¡াবধান করবে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে মাদরাসা রয়েছে এক হাজার ৩৩৬টি। এর মধ্যে কামিল (দুই বছর মেয়াদী) মাদরাসা ২৩৬টি, কামিল (১ বছর মেয়াদী) ৩০টি, অনার্স মাদরাসা ৬৭টি, ফাজিল মাদরাসা এক হাজার ১০০টি, মহিলা মাদরাসা ৩৩টি। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথমবারের মতো মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু হয়। ৬৭টি মাদরাসায় ইতোমধ্যে আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর সাথে তাফসীর, হাদীস, আরবি সাহিত্য ও ফিকহ বিষয়ে ¯œাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া আগামী দিনে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামী ফিকহ শাস্ত্র, ইসলামী বিচার ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থনীতি ও আরবি ভাষায় উচ্চতর ডিপ্লোমা গ্রোগ্রাম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।
নির্মিত হবে দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস: মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, আধুনিকীকরণ এবং দেশের সকল ফাজিল ও কামিল মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলছে। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। যেখানে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। মাদরাসায় অধ্যয়নরত ও শিক্ষাদানরত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য থাকবে আবাসিক সুবিধা। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার ঘাটাচর ও মধ্যেচরে ২০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আধুনিক শিক্ষার সাথে সমন্বয় রেখে মাদারাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হবে। মাদরাসা শিক্ষায় অধিক দক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জনবল সৃষ্টি হবে। তারা দেশে এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে, যা দেশের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি, এসডিজি (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) ও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সাধারণ শিক্ষায় ডিগ্রিধারীদের সাথে মাদরাসা শিক্ষায় ডিগ্রিধারীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও সফলকাম হতে পারবে। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যায়ের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। ক্যাম্পাসের অবকাঠামোর মধ্যে প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমিটরি, মহিলা ও পূরুষ ডরমিটরি, ভিসির বাসভবন, অডিটরিয়াম, মসজিদ, শহীদ মিনার, গেস্ট হাউজ, আনসার ব্যারাক ইত্যাদি ভৌত সুবিধা গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন পাস করার সময় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুদীর্ঘ আন্দোলনে আলেম, পীর মাশায়েখ ও মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একক অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অবদানের কথা তুলে ধরে।
এছাড়াও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক এরাবিক ইনস্টিটিউট শীর্ষক দুটি প্রকল্প সউদী রাজকীয় তহবিল/সউদী উন্নয়ন তহবিল (এসএফডি) এবং বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ন্যূনতম দুই একর করে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অধিগ্রহণ ও সম্ভাব্যতা, সমীক্ষার কাজও চলছে। আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহে কি কি বিষয় স্থান পাবে এবং এর অবকাঠামো কিরূপ হবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালে ফাজিল অনার্সে ভর্তি হয়েছে দুই হাজার ১৪৪ জন, ২০১৭ সালে চার হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থী।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, সমাজে এখন নৈতিক মূল্যবোধের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সবক্ষেত্রে সৎ, ঈমানদার, দক্ষ ও যোগ্য মানুষের অভাব। আর এর মধ্যে ইসলাম নিয়ে যারা কথা বলে তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে যথাযথভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ইসলামি শিক্ষা নয়, সমাজে নৈতিকতার যে অবক্ষয় তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতে সক্ষম হবে। একই সাথে সৎ, ঈমানদার, দক্ষ ও যোগ্য মানুষ তৈরির মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলামকে এগিয়ে নিতে পারবে। সরকার ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একত্রে কাজ করলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বে অন্যতম মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের পীর-মাশায়েখ ও আলেম-ওলামাদের শত বছরের প্রতিক্ষীত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ও সার্বিক দায়িত্ব অর্পন করে বর্তমান সরকার ইসলাম প্রীতি বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত পুন:স্থাপন করলো। আমরা আশাবাদী বিগত দিনের ন্যায় বর্তমান সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সর্বদাই মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।