পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সেবিকা কক্ষের দেয়ালে ‘সকল রোগীদের ইনজেকশন ও স্যালাইন কিনতে দিবেন’ বলে নোটিশ লেখা থাকলেও তার পশের ভান্ডার কক্ষ থেকে দুদক কশিনার সহস্রাধীক ব্যাগ স্যলাইন উদ্ধার করলেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ড সংলগ্ন ভান্ডার কক্ষে সহস্রাধিক ব্যাগ সরকারি স্যালাইন মওজুদ পেলেও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের লিখিত নোটিশের প্রেক্ষিতে রোগীরা বাহিরের ফার্মেসী থেকে স্যালাইন ও ইনজেশন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৪ রোগীর সঙ্গে কথা বলে দুদক কমিশনার জানতে পারেন তখনও কোন রোগীকে স্যালাইন দেয়া হয়নি। রোগীরা তার কাছে অভিযোগ করেন স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ তাদের বাহির থেকেই কিনতে হয়।
হাসপাতালটির এমন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখে দুদক কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দেশের অনেক হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। অন্যান্য হাসাতালের তুলনায় বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা জঘন্য’। দুদক কমিশনার তাৎক্ষনিক ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভান্ডার ইনচার্জ সেবিকা মুনিরা ইয়াসমিন ও হাসপাতালে অনুপস্থিত দুই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার আকষ্মিকভাবে জেনারেল হাসপাতালে ঢুকে জরুরী বিভাগ ছাড়াও কয়েকটি ওয়ার্ড ও বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। তিনি পৌনে একাঘন্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। তার আকষ্মিক উপস্থিতিতে তটস্থ হয়ে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। হাসপাতালটির অনেক অব্যবস্থাপনা ধামাচাপা দিতে পারলেও এড়াতে পারেননি ডায়রিয়ার ওয়ার্ডের অনিয়ম। এসময় দুই চিকিৎসক দন্ত বিভাগের সার্জন ডা. মাকসুদুর রহমান এবং আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুপ্রব চন্দ্র ধর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারন জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেলোয়ার।
দুদক কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন সরকারী দপ্তর এবং বিশেষ করে সরকারী হাসপাতালে আকষ্মিক অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে পরিদর্শনে এসেছেন।
দুদক পরিচালক চলে যাওয়ার পর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বললেন, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বছরে ৬০ হাজার ব্যাগ স্যালাইনের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পান মাত্র ২ হাজার ব্যাগ। এজন্য তিনি সেবিকাদের নির্দেশে দিয়েছেন যে প্রথম ১ হাজার মিলিমিটার স্যালাইন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হবে। এরপরের তা রোগীদের কিনতে হবে। তাছাড়া ফাল্গুন থেকে বৈশাখ পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী বেশী আসে। এ সময়কালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওই স্যালাইন মওজুদ করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।