বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে স্ত্রী পরকিয়ায় রাজি না হওয়ায় নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ায় অচেতন করে লিঙ্গ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের কাওয়াপুকুর এলাকায়। লিঙ্গ হারানো যুবকের নাম শাহিনুর রহমান বাবু।
সে নগরচেংঠির কাউয়াপুকুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র। এ ঘঠনায় শাহিনুর এর বাবা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানায় প্রতিবেশী ইব্রাহীম আলীকে আসামী করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগডোমা এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত মটরসাইকেলসহ আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এলাকায় সরে জমিনে গিয়ে জানা যায় শাহীনুর রহমান বাবু ও ইব্রাহীম আলী প্রতিবেশী হওয়ায় তারা এক সাথে বিভিন্ন কাজকর্ম করত। পরিচয়ের সুত্র ধরে ইব্রাহীম আলী নিয়মিত শাহীনুর রহমান বাবুর বাড়িতে আসা যাওয়া করত। এরই এক পর্যায়ে ইব্রাহীম আলী নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্তে¡ও শাহীনুর রহমান বাবুর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী নাসরিন আক্তারকে প্রেমের প্রস্তার দেয়। শাহীনুর রহমান বাবুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার পরকিয়া প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানায় এবং শাহীনুর রহমান বাবু প্রতিবেশী ইব্রাহীম আলীকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। ইব্রাহীম আলী সু- কৌশলে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীনুর রহমান বাবুকে সাহেববাড়িতে গান শুনার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে চামড়াভিজার দিঘীর কাছে গিয়ে গাড়ি থামিয়ে জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করায়। নেশাদ্রব্য খেয়ে শাহীনুর অচেতন হয়ে পড়লে রাস্তার পার্শে^ ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহীনুরের লিঙ্গ কর্তন করে ইব্রাহীম পালিয়ে যায়। পাশর্^বর্তী বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। শাহীনুর আহত অবস্থায় ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
শাহীনুর রহমান বাবুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন ইব্রাহীম বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক হওয়ার পরেও আমাকে বিয়ে করবে বলে একাধীকবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীর এত বড় ক্ষতি করে। আমি তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।