টুইটার ডাউন: সমস্যায় কোটি ব্যবহারকারী
বিশ্বের অনেক দেশে ‘টুইটার ডাউন’। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটার সাপোর্ট সেন্টার টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ২০১৫ সালের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। নেটওয়ার্ক, এন্টারপ্রাইজ এবং কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ (বিজিএস) সেক্টরে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সারাবিশ্বের নেটওয়ার্ক, এন্টারপ্রাইজ এবং কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ (বিজিএস) থেকে হুয়াওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩৭.১%। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৭.০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করেছে। হুয়াওয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও আবর্তিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গুয়ো পিং বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি খাতে দীর্ঘ মেয়াদী সফলতা অর্জন করেছে হুয়াওয়ে যা বিশ্বের ডিজিটাল অর্থনীতিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। কৌশলগত পরিকল্পনা ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ আমাদেরকে সফলতা ও প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে আমরা বিশেষভাবে কানেক্টিভিটি, ভার্টিক্যাল শিল্প এবং নেটওয়ার্ক ক্ষমতার উন্নয়নে কাজ করব। মুক্ত, সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতির মিশেল ঘটিয়ে আমরা আমাদের গ্রাহক ও অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে প্রযুক্তি খাতকে আরো বেশি সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব যাতে করে বিশ্বকে একটি উন্নত সম্পর্কের আওতায় আনা যায়।
গত ২০১৫ সালে হুয়াওয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি:
নেটওয়ার্ক বিষয়ক ব্যবসা কেরিয়ার বিজি-এর উক্ত বছরের বার্ষিক আয় ৩৫.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ২১.৪%। ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক স্থাপন এ প্রবৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ। এন্টারপ্রাইজ ব্যবসা থেকে হুয়াওয়ের বার্ষিক আয় ৪.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৪৩.৮%। এন্টারপ্রাইজ ব্যবসার আওতায় থাকা আর্থিক সংস্থান, জন নিরাপত্তা, ট্রান্সপোর্ট এবং এ্যানার্জি খাতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ (বিজি)-এর বার্ষিক আয় ১৯.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৭২.৯%। সরাসরি গ্রাহকদের কাছে উন্নত পণ্য ও সেবা বিক্রি করে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ হুয়াওয়ের জন্য সফলতা বয়ে আনে। প্রযুক্তিগত অবকাঠামো এবং আরএ্যান্ডডি-তে গত ২০ বছর ধরে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে হুয়াওয়ে। শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই গবেষণা ও উন্নয়নে মোট বার্ষিক আয়ের ১৫.১% বিনিয়োগ করেছে হুয়াওয়ে যার পরিমাণ ৯.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এক দশকে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয়কৃত অর্থের পরিমান ৩৬.৯৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। হুয়াওয়ের সিএফও সাব্রিনা মেং বলেন, ২০১৫ সালে আমরা দুর্দান্ত সফলতা বয়ে এসেছি। স্বচ্ছল অর্থ লেনদেন, নিরলস কাজ এবং ব্যবসায়িক ঝুঁকি আমাদেরকে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষে নিয়ে গেছে। ২০১৬ সালে আমরা আমাদের পাইপলাইনে থাকা পরিকল্পনাগুলো কৌশলগত উপায়ে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে নব উদ্যোমে কাজ শুরু করে দিয়েছি। পাশাপাশি গ্রাহককেন্দ্রিক পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে আরো বেশি কার্যকরভাবে অব্যাহত থাকবে। আর সেভাবেই আমরা আমাদের পরিচালনা পর্ষদসহ সকল কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছি যাতে করে তারা দক্ষতার সঙ্গে কর্ম সম্পাদন করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স আইটি ডেস্ক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।