Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টিতে ভাসছে কুমিল্লা

প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : আজ সোমবার সকাল থেকে টানা কয়েক ঘন্টা বর্ষণের ফলে কুমিল্লা নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন হাজারো কর্মজীবী, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
এপ্রিলের শুরুতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় নগরীর স্টেডিয়াম এলাকার পুরো সড়ক ও মার্কেটের সামনে পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে শতশত দোকানের ভিতরেও পানি প্রবেশ করায় ইলেক্ট্রনিক মালামাল মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় জেলা প্রশাসকের বাসভবন সড়ক, পুলিশ সুপারের বাসভবন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর সামনের সড়ক, ইপিজেড এলাকা, দক্ষিণ চর্থা বড় পুকুর পাড়, ছাতিপট্টি, মগবাড়ী চৌমুহুনী, হাউজিং এস্ট্রেট, হযরতপাড়া, কাটাবিল, রেইসকোর্স, বাদুরতলা, ঝাউতলা, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়াম রোড এবং মার্কেট, ছোটরা কবরস্থান, কালিয়াজুরী মাজার রোড, আদালত সড়ক, ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত সড়ক, অতিন্দ্র মোহন সড়ক, বিসিক শিল্পনগরী, রাণীর বাজার, সংরাইশ, জগন্নাথপুর, ফায়ার সার্ভিস রোড, পাথুরিপাড়া, শুভপুর, নবগ্রাম, সুজানগর, ধর্মপুর, টমছমব্রীজ, শাকতলা, দক্ষিণ চর্থা মহিলা কলেজ রোড, নিমতলী, দক্ষিণ চর্থা ঢাকা বেকারী সড়ক,নবাব ফয়জুন্নেসা স্কুল রোড, হোচ্ছামিয়া লুৎফুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, থিরাপুকুরপাড়, ঠাকুরপাড়া, মুরাদপুর, বাগিচাগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকা এবং সড়ক গুলোতে প্রায় হাটু সমান পানিতে তলিয়ে গেছে।
ষ্টেডিয়াম এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জানান, সামান্য বৃষ্টিতে আমাদের হাটু পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে দোকানের ভিতরে প্রায় কয়েক লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক মালামালে পানি ঢোকার কারণে জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দোকানগুলোতে টিভি, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশন, ফ্যানসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে। এ জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর আমাদের কোটি টাকা ক্ষাতির সম্মুখীন হতে হয়।
সিটি কর্পোরেশনকে বার বার বলার পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এদিকে কোটি টাকায় নির্মিত ড্রেনের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী, তারা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা থেকে ড্রেন উচ্চতা অনেক বেশি তাই পানি রাস্তায় জমে যাচ্ছে। ফলে ভোগান্তি আরো চরম আকার ধারণ করেছে।
সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক হাঁটা-চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অনেকই ড্রেনে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানা যায় এবং ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানবাহন চলাচলসহ স্বাভাবিক চলাফেরা করতে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় লঘু চাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত আছে। কয়েক ঘন্টা টানা বর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী সাকিব জানান টানা বর্ষণে রাস্তায় হাটু পানি হওয়ার কারণে রিক্সাও যাচ্ছে না। এমনকি যেখানে ২০টাকা ভাড়া সেখানে ৫০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে পানির মধ্যে হাটতে হচ্ছে। পচাঁ আর দুর্গন্ধ পানিতে স্কুল ড্রেস এবং জুতা ভিজে যাওয়ায় দুচিন্তায় আছি।
কুমিল্লা জিলা স্কুলে আরেক শিক্ষার্থী জানান, জিলা স্কুল রোডে হাটু পানি হওয়ার কারণে স্কুলে যেতেও সমস্যা হচ্ছে। তাই বাবা কোলে চড়ে স্কুলে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীরা ক্ষোভের সাথে জানান নগরবাসী দুর্ভোগে পড়লে কাউকে দেখা যায় না। ভোট নেওয়ার সময় কত আশা ভরসা, উন্নয়নের কত কিছুই বলেন। বাস্তবে কিছুই করেন না বলে তারা।
নগরীর রানীর বাজার-ধর্মপুর, রেলগেইট হতে শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড সড়ক, ফৌজদারী হতে ছোটরা হয়ে কালিয়াজুরী সড়ক, চর্থা চৌহনী-ইপিজেড (ঢাকা বেকারী) সড়কটির বেহাল অবস্থায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
এবিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের এক উধ্বর্তন কর্মকর্তা জানান, মহানগরে ড্রেন ও সড়ক উন্নয়নের কাছ চলছে। আশা করি বর্ষায় নগরবাসীর ভোগান্তি পোহাতে হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ