পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননাকারীদের মৃত্যুদÐ, মহিলাদের গালে পিঠে পেচার ছবি আকাঁ, উল্কি আকাঁ, মুখোশ মিছিল, বেপর্দা হওয়া এসবের মাধ্যমে নববর্ষ পালন সম্পূর্ণ কুফরী। তাই নববর্ষ পালন নিষিদ্ধ করা, ‘পহেলা বৈশাখ পালন করলে মুসলমানিত্ব যায়না’ ইনুর এ কুফরী বক্তব্য প্রত্যাহার, ইহুদীদের সাথে বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়ার কারণে সউদ পরিবারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ, মসজিদের বিরুদ্ধে কথা বলায় শাহরিয়ার কবীরের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষায় শিক্ষামন্ত্রীকে প্রত্যাহার, সারাদেশে ভয়াবহ অনৈতিকতা বিস্তারের ফাঁদ ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব’ স্থাপনের পরিকল্পনা বন্ধ, মুসলমানিত্ব নির্মূলের শিক্ষা আইন অনুমোদন বাতিল, পাঠ্যপুস্তকে পুণরায় হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করানোর চক্রান্ত বন্ধ, বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার নামে বিদেশী পতাকা উড়ানো এবং মূদ্রা পাচার বন্ধসহ ১২ দফা দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩দল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এসব দাবী জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ ও চৈত্র সংক্রান্তির সাথে ইসলামের কোন বিরোধ নেই। এগুলো পালনে মুসলমানিত্ব যায় না।’ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই বক্তব্য মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে চরম আঘাত। ইনুকে এ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইনু তো জানেনা যে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর পবিত্র মদীনা গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, নববর্ষ উদযাপন বা নওরোজ পালন; অন্যটির ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসব দুটির বিপরীতে মুসলমানদের জন্য চালু হয় দুই ঈদ। এ সম্পর্কে - ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন আলী আয যাইলায়ী বলেন, “নওরোজ ও মেলার নামে কিছু দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম; বরঞ্চ কুফর”। (গ্রন্থ তাবইনুল হাকায়েক : ৬/২২৮) ইমাম হাফস কবীর রহমতুল্লাহি বলেন, “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে”। পহেলা বৈশাখ হলো অমুসলিমদের উৎসবের দিন। এদিনে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ১৭টি পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং এই দিনে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় বিশ্বাস মোতাবেক পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষীর বাহন, ইঁদুর গণেশের বাহন, হনুমান রামের বাহন, হাঁস স্বরসতীর বাহন, সিংহ দূর্গার বাহন, গাভী রামের সহযাত্রী, সূর্য দেবতার প্রতীক ও ময়ূর কার্তিকের বাহন। যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের পরিপন্থী। পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনে মুসলমানদের বাধ্য করা যাবেনা।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দালাল ঘাধানিক শাহরিয়ার কবির বলেছে, সরকারের টাকায় মসজিদ হতে পারেনা। এটা ইসলামেও নেই, সংবিধানেও নেই। এ বক্তব্যের প্রতিবাদে ঘাদানিক শাহরিয়ার কবীরের ফাঁসির দাবী করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারী টাকায় মসজিদ নির্মান বৈধ না হলে হিন্দুদের মন্দির নির্মাণ সেটা বৈধ হয় কি করে? পূজায় ৩০ হাজার মন্ডপে মন্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি চাল বৈধ হয় কি করে? বাজেটে মসজিদে-মাদরাসায় বরাদ্দ না করে গত অর্থবছরের বাজেটে হিন্দুদের জন্য অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বৈধ হয় কি করে। এছাড়া ভারতে মুসলমানরা ৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের শত্রæ সম্পত্তি ফেরত না পেলেও বাংলাদেশে তারা ৬ লাখ একর শত্রæ সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি ফেরত পাচ্ছে। মসজিদের জন্য সরকারী বরাদ্দ না থাকলে হিন্দুদের মন্দির এবং পূজা মÐপের জন্য বরাদ্দ বন্ধ করতে হবে।
শিশু মন্ত্রণালয় কর্তৃক সারাদেশে ৫ হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন অনৈতিক ও সংবিধানের ৪৩ নং অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের ১৭ নং অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘের শিশু সুরক্ষা সনদের ১৬ নং অনুচ্ছেদ এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ নং অনুচ্ছেদ তথা ধর্মীয় স্বাধীনতা মারাত্মক লংঘন। এ উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ, মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল গফুর, মুহম্মদ গরীব মাহাবুব সহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।