পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, বর্তমান সরকার মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তিক বানানোর শিক্ষা চালু করেছে। কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতির নামে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ওলামাদের মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্য সৃষ্টি করে কুরআন হাদিসের বিশুদ্ধ জ্ঞান চর্চার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করতে চাচ্ছে। বিতর্কিত ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি-২০১০ অনুসারে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকগুলো থেকে ইসলাম বিষয়ক পাঠসমূহ বাতিল করে তদস্থলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদমূলক বিষয়ে প্রতিস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষাছাড়া নৈতিকতাসম্পন্ন সৎ ও আদর্শ নাগরিক তৈরী হয়না। তাই ধর্মহীন শিক্ষানীতি, সেক্যুলার শিক্ষাআইন-২০১৬ বাতিল করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের হিন্দত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ শিখতে বাধ্য করে তাদের ধর্মহীন করতে দেয়া হবে না।
তিনি গতকাল নোয়াখালী সেনবাগ ছাতারপাইয়া দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রফিক উল্লাহর সভাপতিত্বে বাদ জোহর থেকে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, মেখল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ইসমাঈল খান, কুমিল্লার মাওলানা মুফতি মুশতাকুন্নবী, উজানী মাদরাসার মাওলানা এহতেরামুল হক প্রমূখ।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী আরো বলেন, বর্তমানে স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গরুকে মায়ের সম্মান, দেবীর নামে পাঁঠাবলির নিয়ম, হিন্দুদের তীর্থস্থানের ভ্রমণ কাহিনী এবং হিন্দু রীতিনীতি ও দেব- দেবীর নামে প্রার্থনা করার বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। স্কুল-কলেজের বর্তমান ইসলামবিচ্ছিন্ন শিক্ষাব্যবস্থাকে আইনি ভিত্তিদান এবং কওমি মাদরাসাসমূহকে নিয়ন্ত্রণের করা হচ্ছে। শিক্ষা আইন-২০১৬ নামে একটি বিতর্কিত শিক্ষা আইন পাস করে মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসব কর্মকান্ড বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এসব চক্রান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।