বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাট শহরে মো. ওবায়দুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই জনকে যাবজ্জীবন ও দুই জনকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ৫ বছর দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এই রায় দেন।
রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার ফজলুল মল্লিকের ছেলে রুবেল মল্লিক, জাহাঙ্গীর খানের ছেলে খান মোহাম্মদ জিহাদ। করাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- শহরের সম্মিলনী স্কুল রোডের সামাদ পাইকের মেয়ে সুমনা নাজনিন ওরফে বনানী, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা ধাইয়ারকূল বাড়ি গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে খালিদ মোল্লা।
মামলার বিরবণে জানা গেছে, শররের দক্ষিণ সরই এলাকার মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে ওবায়দুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আসামী সুমনা নাজনিনের বিবাহ হয়। পরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে সুমনার সাথে ওবাইদুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর প্রেক্ষিতে সুমনা তার লোকজন নিয়ে প্রাক্তন স্বামীর কাছে পৌনে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ওই টাকা না পেয়ে ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের আলীয়া মাদ্রাসা সড়কে আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ওবায়দুল ইসলামকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম চৌধুরী ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিন ২০১১ সালে ৩১ মে চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
মামলার বিচারক ১০ জন সাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ শেষে সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।