পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : সবুজ পাহাড় ঘেরা সাগর, নদী, হ্রদ নিয়ে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল নির্মাণের দাবি ছিল চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের। বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও জায়গার অভাব ও বিভিন্ন কারণে তা করা হয়নি। অবশেষে ক্রীড়া পাগল সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে চট্টগ্রামে সুইমিং পুলের প্রয়োজনীয়তার কথা বললে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। আউটার স্টেডিয়ামের প্রায় পাঁচ বিঘা জায়গা থেকে মাঠের একপাশে দুই বিঘার উপর গত বছরের এপ্রিলে শুরু হয় আন্তর্জাতিক সুইমিং কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। সামগ্রিক নির্মাণ কাজ নিয়মিত নিবিড় তদারকি করে যাচ্ছেন মেয়র, সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক ও বিসিবির সহ-সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দীন। সবার প্রত্যাশা চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের এ সুইমিং পুল হবে দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা। যা এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও আশপাশ এলাকার আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি করবে। তাছাড়া আউটার স্টেডিয়ামের পূর্বপাশে সড়ক ঘেঁষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পার্ক ও ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
যেহেতু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এ সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তাদের অর্থায়নে স্টেডিয়াম এলাকা ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আর কোন জায়গা না থাকায় আউটার স্টেডিয়ামে বড়সড় এই স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ কাজ এ পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে আন্তর্জাতিক মানের এ সুইমিং পুল। এটি নির্মাণ করতে গিয়ে ঘটেছিল কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। যা কারো কাম্য ছিল না। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ক্রীড়াঙ্গণের দুই কর্ণধার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীরসহ সবাইকে সাথে নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। এরপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নির্ধারিত স্থানে সুইমিং কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এখন শেষের দিকে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, দুই বিঘা জায়গার উপর নির্মিতব্য এ সুইমিং কমপ্লেক্সে রয়েছে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২২ মিটার প্রস্থ এবং ১.৮ মিটার গভীর একটি সুইমিং পুল। সেইসাথে ড্রেসিং রুম, প্লেয়ার লাউঞ্জ, দুইপাশে গ্যালারী, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, ফিল্টেশন প্ল্যান্ট, ডিপ টিউবওয়েল, গাড়ি পার্কিং এবং অফিস। দুইপাশে গ্যালারী নির্মাণ কাজ চলছে। দক্ষিণ পাশে বসানো হবে বড় স্ক্রিন। উত্তর পাশে থাকছে নৌকার ডিজাইন। আন্তর্জাতিক মানের যত সুযোগ-সুবিধা দরকার সবকিছুরই সমাহার থাকছে এ সুইমিং কমপ্লেক্সে। বেশ বড় একটি কর্মযজ্ঞের গুণগত মান যাচাই করার লক্ষ্যে এ নির্মাণ কাজ ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে দেখাশোনা করছেন প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আওলাদ হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান, অপর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘বসত’ এবং বুয়েটের স্থপতি বসুনিয়া স্যারের তত্ত¡াবধানে এ সুইমিং পুলের ড্রয়িং ও ডিজাইন আগেই সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর বলেছেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল। নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এবং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সফল হওয়ায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিলে এ সুইমিং পুল নির্মাণকে কেন্দ্র করে অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটনা ঘটে যাওয়ায় প্রায় চার মাস বন্ধ থাকে এ কাজ। এ ঘটনা না হলে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।