পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলাকারীরা ছাত্র কিনা সন্দেহ রয়েছে’- এমনটি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। চিহ্নিত করার পর অবশ্যই মামলা হবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এ ধরনের হামলা কখনোই ছাত্র সমাজের হতে পারে না। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের ইন্ধন রয়েছে।’ ফেসবুকে ‘মৃত্যুর গুজব’ প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইমরান এইচ সরকার ছাড়া অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাতে বাসায় বসে আমি আন্দোলনের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছিলাম। একপর্যায়ে ফেসবুকে দেখলাম একজন মারা গেছে। তখন আমি খুব আহত হই। তাৎক্ষণিক খবর নিলাম ঘটনাটা সত্য কিনা। এর মধ্যে দেখলাম, খবরটা ভাইরাল হয়ে গেছে। এটি কেন্দ্র করে গভীর রাতে ছাত্ররা আবার সমবেত হতে থাকলো।
‘তাদের মুখে মুখে স্লোগান আসলো, ‘আমার ভাই মরলো কেন?’
'পরবর্তীতে দেখলাম, যার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে সে নিজেই ফেসবুকে জানিয়ে দিলো যে, সে মরেনি। এটা মিথ্যা খবর।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে ভুয়া তথ্য দিয়ে ছাত্রদের উত্তেজিত করা এবং গভীর রাতে ছাত্রদের সমাবেত করা- সবগুলো ঘটেছে, আমার মনে হয় মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে।’
‘যিনি করেছেন তাকে আমরা সনাক্ত করবো। তারপর আইসিটি আইনে মামলা হবে, পরিষ্কার কথা। কারণ এ ঘটনার পর অনেক কিছু ঘটেছে। গভীর রাত্রে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসেছে।'
'আমরাও তো অনেক ইস্যুতে আন্দোলন করেছি। কিন্তু কখনও রাত ৯টা কিংবা ১০টার পর রাস্তায় নামিনি। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা গভীর রাতে রাস্তায় নেমেছে।'
সাংবাদিকরা এ সময় বলেন, গুজব ছড়ানো ব্যক্তি তো চিহ্নিত, ইমরান এইচ সরকার। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একা নন, আরও কয়েকজন থাকতে পারে। সবগুলোকেই আমরা দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তারা নাকি মারপিট করছে। কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ছাত্রলীগ মারপিটের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এসব অপপ্রচার চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তেজিত করার পরিকল্পনা ছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।