Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কিছু পেলে মন খারাপের কিছু নেই -হেলাল মোর্শেদ খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়্যারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম বলেছেন, চাকরিতে কোটা দেয়া হয় অনগ্রসর কোনো গোষ্ঠীকে সমভাবে কোনো একটা জায়গায় আনার জন্য।
এখন প্রশ্ন উঠছে যে এটা থাকা উচিত কিনা? অনগ্রসর গোষ্ঠীকে সামনে আনা সরকারের দায়িত্ব। তবে কোটার কারণে অনেক জায়গা খালি যাচ্ছে, পুরণ হচ্ছে না। ফলে সরকারের অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, এবং মেধাবিরা সুযোগ পাচ্ছে না, সেটাই হচ্ছে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য। কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের মুখে চ্যানেল আইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মেধাবীদের দাবি অনুযায়ী কোটার পরিমাণ কমিয়ে আনার বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে লাভ ও ক্ষতির হিসাবটা তুলে ধরতে পারে। মুক্তিযোদ্ধারা কত পার্সেন্ট আছে, তাদের ছেলে মেয়ে কত পার্সেন্ট আছে সেসব হিসাব করে কোটার পরিমাণ কত সেটা কমবেশি করা যেতে পারে। কতটা কমালে কী পরিমাণ লাভ ক্ষতি হবে সেই অঙ্কটা করে সঠিক পরিসংখ্যান বের করা উচিত।
হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, যারা মেধাবী তারা অন্যান্য যে সরকারি চাকরি আছে সেখানে তারা তাদের মেধার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। অথবা বেসরকারি কোনো খাতে নিজের মেধা কাজে লাগাতে পারে। মুক্তিযাদ্ধারা যখন যুদ্ধে গিয়েছিল তখন তাদের একটা স্বাভাবিক জীবন ছিলো। সেসব তুচ্ছ করে দেশের জন্য যুদ্ধে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা। তাদেরও তো আশা ছিলো দেশ স্বাধীন হলে তারা কিছু একটা পাবে। মুক্তিযুদ্ধের পরে তারা ক্যাম্পে আসে, ক্যাম্প থেকে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ বছর পরে এসে সরকার তাদের জন্য ১০ হাজার টাকার ভাতা করে চালু করে। এর বেশি দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব না। ১০ হাজার টাকা করে মানেই বছরে ১২শ কোটি টাকা দেয়া হয়। সেজন্য তাদের মহৎ কাজের প্রতিদান হিসেবে এত বছর পরে এসে সরকার এই কোটা চালু করল, তাদের কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি বলতে চাই, আমার ছেলে ৭০০ মার্কস পেয়ে চান্স পায়নি, একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ৪৫০ মার্কস পেয়ে সুযোগ পেয়েছে। এখানে মন খারাপের কিছু নেই বলেই আমি মনে করি। তার বাবা দেশের জন্য এতবড় কাজ করেও কিছু পায়নি, ফলে সে পেলে সেখানে মন খারাপের কিছু নেই।



 

Show all comments
  • কামরুল ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:৫৪ এএম says : 0
    সেটাও একটা যৌক্তিক পর্যায়ে আসা দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৪৩ পিএম says : 0
    যে ছাত্র ৭০০ পেয়ে চাকরী পাবে, তার দারা ঐ ডিপারটম্যন্ট যে উন্নতি হবে, ৪৫০ পাওয়া ব্যক্তির ধারা তা সম্বব না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযোদ্ধা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ