পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুগ যুগ ধরে ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতিদের জন্য বংশ পরম্পরায় কোটা ব্যবস্থা চালু রাখা সম্পূর্ণ অর্থহীন ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা যোগ্য, যারা মেধাবী তাদেরকে নিয়োগ দিতে হবে।
কোন দেশে কোটার নামে এ রকম বৈষম্য কি আছে? কিছু দিনের জন্য হয়তো কোটা পদ্ধতি রাখা যেতে পারে। কিন্ত যুগ যুগ ধরে ছেলে মেয়ে, নাতি-পুতিদের জন্য বংশ পরম্পরা এ রকম ব্যবস্থা চালু রাখা সম্পূর্ণ অর্থহীন ও অযৌক্তিক। প্রবীণ এই শিক্ষক বলেন, এক সময় এটির ব্যাপক দরকার ছিল। এখন তেমন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে নাতি-নাতনি কোটার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কেউ কোনো সুযোগ-সুবিধা লাভ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গেছেন নিজের প্রয়োজনে। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজের দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে। সুতরাং এর জন্য তাদের ছেলেমেয়েদের পুরস্কৃত করতে হবে এ ধরনের চিন্তা ভাবনা যেন কারো মাথায় না আসে।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য দিক সমস্যা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তবে কেউ যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। সোজা কথা হচ্ছে, কোটা প্রথাটার একটা যৌক্তিক সংস্কার দরকার। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে একটি কমিটি করা যেতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাখা যেতে পারে। নদী ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে এখন কোটার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে নাতি-নাতনি বাদ দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।