পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ছুটির দিনে জমে উঠেছে এসএমই মেলা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি বাহারি সব দেশীয় পণ্যের জন্য ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। প্রতিটি দোকানে প্রচুর লোকসমাগম। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলা আজ রোববার শেষ হচ্ছে। বিভিন্ন নকশা করা পোশাক, পাটজাতপণ্য, খাবার, জুতা, চামড়া পণ্য, প্লাস্টিক, হস্থশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্য মেলায় প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের আকর্ষণে রয়েছে বিভিন্ন অংকের নগদ মূল্যছাড়।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ভিড় করতে থাকেন এসএমই মেলায়। শুধু কেনাকাটা নয়, মেলায় অনেকে এসেছেন নতুন নতুন পণ্য দেখতে আর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পরিচিত হতে। মেলায় বিভিন্ন নকশার ফতুয়া, কামিজ, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক, শাড়ি, মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্সসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা বেশি হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত উদ্যোক্তারা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী উদ্যোক্তা। তারা বুটিক ও বাটিক পণ্য নিয়ে এসেছেন। মেলায় এসব পণ্য সরাসরি বিক্রি করছেন তারা। তবে বছরজুড়ে পণ্যগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমে সরবরাহ করেন এসব উৎপাদনকারী।
ইলোরা বিউটি পার্লার অ্যান্ড বুটিকস হাউজের স্বত্বাধিকারী সাবরিনা ইসলাম বলেন, মেলার চতুর্থ দিনে দর্শনার্থী অনেক বেড়েছে। বিক্রিও ভালো। তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ পণ্য বৈশাখকে কেন্দ্র করে তৈরি। বিভিন্ন শাড়ি, থ্রিপিস, জামা বিক্রি করছি। ১৮শ থেকে ৯ হাজার টাকায় শাড়ি। এছাড়া ১৫শ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকায় থ্রিপিস বিক্রি করছি। বৈশাখের পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মেলায় দেশি-বিদেশি ক্রেতা দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে ঐতিহ্যবাহী কারুপণ্যের ‘শতরঞ্জি’। আরও রয়েছে রঙ-বেরঙের সুতা আর গ্রামবাংলার প্রকৃতিনির্ভর নকশার সমন্বয়ে কাঁচাপাট, পাটের সুতলিসহ দেশি কাঁচামাল দিয়ে তৈরি শতরঞ্জি, পাপোশ, ম্যাট, ব্যাগ, ও বিছানার চাদর। রাজশাহী থেকে আসা কাজল বুটিকের নারী উদ্যোক্তা ইসরাত জাহান বলেন, আমরা নিজেরাই ডিজাইন করে বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করি। এসব পণ্য রাজধানীসহ বিভিন্ন শোরুমে সরবরাহ করি। মেলা উপলক্ষে আমরা সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রি করছি। শাড়ি, জামা, থ্রিপিস, বেডকভার, কুশন কভারসহ বিভিন্ন নকশা করা পোশাক রয়েছে আমাদের। পণ্যের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে এ নারী উদ্যোক্তা বলেন, এখানে সব পণ্য ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে শাড়ি বিক্রি করছি ১৫শ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বেড কভার দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে কুশন কভার। এছাড়া নানান ডিজাইনের হাতের কাজের থ্রিপিস পাওয়া যাচ্ছে ১৫শ থেকে তিন হাজার টাকায়। তিনি জানান, মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১০০ থেকে ২০০ টাকা মূল্য ছাড় দিচ্ছি। অনেক পণ্যে ৫০০ টাকাও ছাড় দেয়া হচ্ছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদেরও বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নিজের পণ্য পরিচিতি বাড়াতে এবার মেলায় অংশ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। আজকে ছুটির দিন। দর্শনার্থী বেড়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসারে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৮’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ষ্ঠ বারের মতো জাতীয় এসএমই মেলা যৌথভাবে আয়োজন করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।