পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও লোডশেডিংয়ের যাতনা পোহাতে হয়েছে গ্রাহকদের। ঢাকার চেয়ে জেলা শহরগুলোতে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা ছিল অনেক বেশি। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অবশ্য বলছে, গত এক সপ্তাহ যেভাবে লোডশের্ডি ছিল, সেই তুলনায় গতকাল বিদ্যুতের যাওয়া আসা তেমন একটা ছিল না। লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়েই ছিল।
লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা কবে শেষ হচ্ছে-জানতে চাইলে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বুধবার ইনকিলাবকে বলেছিলেন, শুক্রবারের মধ্যেই লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। তিনি অবশ্য এই অনাকাক্সিক্ষত যাতনার জন্য নৌযান ধর্মঘটকেই দায়ী করেছিলেন।
এদিকে, নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ার কারণে জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। গতকাল পিডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, জ্বালানি তেলের কারণে কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ নেই। ধর্মঘটের কারণে যেসব জাহাজের তেল খালাশ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় ওই সব জাহাজের তেল খালাশ করা হয়েছে।
অপরদিকে, রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, সাতারকুল, উলন, শাহাজাদপুর, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, লালবাগ, বকশিবাজার, সুত্রাপুর, কোতয়ালি, যাত্রাবাড়ী, সেনারপাড়, মানিকনগর, গুলবাগ, গোড়ান, খিঁলগাও, তিলপাপাড়া, বাসাবো, মেরাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে তিন থেকে চার বার লোডশেডিং হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, নিলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের প্রতিটি এলাকাতেই চলছে লোডশেডিং। এ ব্যাপারে জাতে চাইলে সাতক্ষীরা ও মানিকগঞ্জ জেলার পল্লী বিদ্যুতের জিএম পৃথকভাবে ইনকিলাবকে জানান, প্রচ- দাপদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এই চাহিদার তুলনায় তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছে। এ কারণে লোডশেডিং বেড়েছে।
পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে না পারায় গত তিন থেকে চারদিন গড়ে ৭শ’ মেগাওয়াট করে লোডশেডিং করতে হয়েছে। নৌ-শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় বৃহস্পতিবার লোডশের্ডিং ছিল ৩শ’ মেগাওয়াট। আর শুক্রবার কোনো লোডশেডিং ছিল না। তিনি অবশ্য বলেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ার পরও জ্বালানি তেলের কারণে গতকালও ২শ’ মেগাওয়াট উৎপাদন কম হয়েছে। তবে শনিবার এই সমস্যা একেবারেই থাকবে না।
জানা যায়, গতকাল পিডিবির চাহিদা ধরেছে ৮ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। আর উৎপাদন ধরেছে ৮ হাজার মেগাওয়াট। এক্ষেত্রে ঘাটতি ২শ’ মেগাওয়াট লোডশেডিং দেখিয়েছে। তবে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কাগজে লোডশেডিং দেখানো হলেও কার্যত কোনো লোডশেডিং ছিল না। তাহলে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং কেন হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভবত ওইসব এলাকায় কারিগরি ক্রুটি থাকতে পারে।
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চাহিদার অনুপাতে লোডশেডিং সবচেয়ে কম হয় ঢাকা অঞ্চলে চাহিদার শতকরা ১২ ভাগ। আর ন্যাশনাল গ্রিড ডেসপাচ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যন্য অঞ্চলে মোট চাহিদার ১৬ শতাংশ করে লোডশেডিং হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগ কাগজে কলমে উৎপাদন ও লোডশেডিংয়ের যে হিসাবই দিক না কেন গ্রাহক পর্যায়ে পরিস্থিতি ভিন্ন। দিনে চাহিদার ১২ বা ১৬ শতাংশ লোডশেডিং হলে প্রতি ৬ বা ৮ ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হওয়ার কথা কিন্তু এখন দিনে এলাকাভেদে চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টদের মত হচ্ছে, সরকারিভাবে বিদ্যুতের চাহিদা এবং লোডশেডিংয়ের যে হিসাব দেওয়া হয় তা সঠিব নয়। এই শুভঙ্করের ফাঁকির জায়গাটি বন্ধ করা গেলে বিদ্যুতের প্রকৃত তথ্যটা জানা যেত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।