Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অটিজম আক্রান্তদের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘শুভেচ্ছা দূত’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদেরকে সফল, ক্ষমতায়িত ও কর্মক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত করতে আমাদেরকে সমন্বিত ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে।
নিউইর্য়কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব একথা বলেন। গতকার ঢাকায় পাওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইকোসক চেম্বারে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘অটিজম আক্রান্ত নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি অংশ নেন। ইভেন্টটির অন্যান্য প্যানেলিস্ট ছিলেন অটিজম উইমেন নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন মরেনিকি গিওয়া-ওনাইয়ু, অটিজম কনসালট্যান্ট অ্যামি গ্রাভিনো এবং জাতিসংঘের কমিটি অন দ্যা রাইট অব পারসন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটির মেম্বার প্রফেসর জোনাস রুজকুস। মডারেটর ছিলেন জাতিসংঘের এনজিও সম্পর্ক বিষয়ক অফিসের প্রধান জেফ্রি ব্রিজ।
সায়মা ওয়াজেদের প্রতিষ্ঠান ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশ সরকার, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও এনজিওদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিসঅর্ডারসহ অন্যান্য ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, সকলেরই সমাজে সমানভাবে এবং সম্মানের সঙ্গে বসবাস করার অধিকার রয়েছে। অটিজম আক্রান্তদের বিশেষ করে মেয়ে ও নারীদের সব ধরনের সুযোগ দিতে হবে যা তাদের প্রয়োজন।
ইভেন্টটিতে ‘অ্যবলিজম, সেক্সিজম, রেসিজম...হাউ দে ইন্টারসেক্ট বিষয়ে প্রথম প্যানেলে প্যানেলিস্ট বক্তব্য প্রদানকালে তিনি অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের যে সকল সামাজিক ও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অটিজমের শিকার নারীদের বিভিন্ন বৈষম্য ও তাঁদের প্রতি গতানুগতিক সামাজিক ও পারিবারিক ধারণার কথা, তাদের নাজুক পরিস্থিতি এবং পরিবারের সদস্যসহ আশে-পাশের মানুষের দ্বারা নিগ্রহ ও নির্যাতনের বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, অটিজম আক্রান্ত নারী ও মেয়েরা নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে নিজেদের একান্ত চাওয়া পাওয়ার কথাও ঠিকমতো বোঝাতে পারেন না। এসকল নারীদের বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনসহ প্রাত্যহিক জীবন-যাপন বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবহারিক শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টির উপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি তারা যাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংগ্রহণের মাধ্যমে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টির ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, অটিজম আক্রান্তদের সমাজে জায়গা করে দিতে হবে যাতে তারা তাদের অবদান রাখতে পারে, অন্যথায় সমাজে বড় ধরণের বিভেদ তৈরি হবে।
জাতিসংঘের কমিটি অন দ্যা রাইট অব পারসন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটির মেম্বার প্রফেসর জোনাস রুজকুসের এক প্রশ্নের জবাবে সায়মা হোসেন বলেন, কনভেনশন অন দ্যা রাইট অব পারসন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকার অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এরফলে এক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ ও কাতার মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। অটিজম নিয়ে কাজ করছে এমন সংস্থাসমূহ এ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। প্রদর্শনীটির সহ আয়োজক ছিল জাতিসংঘে ভারত, কুয়েত ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্থায়ী মিশন এবং অটিজম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পীকস্।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ