বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) কর্মকর্তাসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫জনকে আটক করা হলেও কোন মাদক উদ্ধার না করেই দ্রæত পালিয়ে আসেন ডিএনসির দল। আহতরা হলেন- ডিএনসির লালবাগ সার্কেলের পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন, এএসআই নাজমুল হুদা ও সবুজবাগ সার্কেলের সিপাহী ইউসুফ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ডিএনসির একটি গাড়িও ভাংচুর করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিএনসির সহকারী পরিচালক (উত্তর) মো. খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, কামরাঙ্গিরচরে বড়গ্রামের বড়মসজিদ সংলগ্ন আবুল কাশেমের বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযান চালায় লালবাগ ও সবুজবাগ সার্কেল। আবুল কাশেম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। অভিযানের সময় সে তার ছেলে-মেয়েসহ বাড়িতে থাকা অন্যরা ডিএনসি আভিযানিক টিমের উপর চাপাতি, রাম দাসহ দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। চাপাতির কোপে এসএসআই নাজমুলের মাথা কেটে গেছে। লাঠিসোটার আঘাতে সিপাহী ইউসুফের পা ভেঙ্গে গেছে ও পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন আহত হয়েছেন। তাদের মোহাম্মদপুরের বিডিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়ে ডিএনসির গাড়িটিও ভেঙ্গে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ডিএনসির অন্য কয়েকটি সার্কেল ও স্থানীয় থানা পুলিশের সমন্বয়ে আবারো যৌথ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫ জনকে আটক করা হয়। তারা হলো আবুল কাশেম, খাদিজা বেগম পান্না, সোহান, মো. দ্বীন ইসলাম ও মো. মাইনুল হোসেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। পলাতক অন্যদের আটকের জন্য অভিযান চলছে। ডিএনসির সূত্রে জানা গেছে, দোতলা ওই বাড়িটির মালিক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাশেম। তার ছত্রছায়ায় তার পরিবারের সদস্যরাও মাদক ব্যবসায় জড়িত। এরা একটি মাদক সিন্ডিকেট। এরা কামরাঙ্গিরচরসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।