বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জয়নাল আবেদীন জয়, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) থেকে : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান কউসিক আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভুমিহীন নিহত পুলিশ সদস্যের বিধবা স্ত্রী মাথাগোজার ঠাই বাড়ি পেল। গতকাল বুধবার ওই বিধবার হাতে ৫শতক সরকারি খাস জমির দলিল তুলে দেন ওসি। একই সাথে তাকে ঘর তুলে দেয়ার যাবতীয় সহযোগিতাও করছেন তিনি। বাড়ি প্রাপ্ত ভুমিহীন ওই বিধবার নাম মৃদুলা খাতুন (৫৫)। তার স্বামী মৃত আবু তাহেরীম। তিনি পুলিশের এএসআই ছিলেন। পাবনা জেলার বাসিন্দা ওই পুলিশ সদস্য চাকরি থেকে অবসরের পর গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার সর্বস্ব বিক্রি করেও রোগমুক্ত করা যায়নি। তার অকাল মৃত্যুর পর তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ভুমিহীন হয়ে অকুল পাথারে পড়ে যান মৃদুলা খাতুন। অনেক কষ্ট করে তিনি মেয়েকে বিয়ে দিলেও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শেষ বয়সে এসে মাথাগোজার ঠাই না পেয়ে বিপাকে পড়েন। সামান্য দোকান কর্মচারী একমাত্র সন্তানের আয় দিয়ে শহরে বাসাভাড়া করে জীবনযাপন করা তার কাছে দূস্বপ্ন হয়ে দাড়িয়ে ছিল। অতি মানবেতর জীবনযাপনকারী এই পুলিশ পরিবারটির অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কউসিক আহমেদ। তিনি এই পরিবারটিকে খুঁজে বের করে তাদের পাশে সহায়তার হাত বাড়ান। তিনি এই পরিবারটির দুঃখ র্দূদশার কথা জানিয়ে তাদের স্থায়ী আবাসের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর বিষয়টি তুলে ধরেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের ভুমিহীন হওয়ার কথা জানতে পেরে তারা ওসি দেওয়ান কউসিক আহমেদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই পরিবারের জন্য উল্লাপাড়া উপজেলার মাগুড়াডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় বাড়ি করার জন্য ৫ শতক জায়গা বরাদ্দ দেন। বুধবার দুপুরে বিধবা মৃদুলা খাতুনের হাতে ওই জমির দলিল হস্তান্তর করেন ওসি। এসময় মৃদুলা খাতুন আনন্দে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, একটু মাথাগোজার ঠাই পাওয়ার জন্য সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ঘুরেছি। কিন্তু তারা কোন সহায়তা করেনি। জায়গার দলিল হাতে পাওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও উল্লাপাড়া থানার ওসিকে ধন্যবাদ জানান। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান কউসিক আহমেদ জানান, পুলিশ সদস্যের বিধবা স্ত্রীর হাতে বাড়ির জায়গার দলিল তুলে দিলাম। আমি নিজ উদ্যোগে তার থাকার ঘর করে দেয়ার যাবতীয় বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। তার বেকার ছেলেটিকেও একটি কর্মে লাগিয়ে দিয়েছি। অসহায় পুলিশ পরিবারটিকে সহায়তায় এই মানবিক কাজ করতে পেরে নিজের কাছে খুব ভাল লাগছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।