Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাটোরে ২৭টি অবৈধ স্রোতি জালের অবকাঠামো অপসারণ

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলায় ¯্রােতি জালের অবকাঠামো অপসারণ করা হয়েছে। মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের নদী এলাকায় নদীর পথে পথে ¯্রােতি জাল স্থাপন করে অবৈধ উপায়ে লুট করা হয় মৎস্য সম্পদ। নির্বিচারে ধরা হয় মা মাছ, নিধন করা হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। অবৈধ এই মৎস্য আহরণ বন্ধের মাধ্যমে মা মাছ আর দেশীয় প্রজাতির মাছের সুরক্ষা তথা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নাটোরে ২৭টি ¯্রােতি জালের অবকাঠামো অপসারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আত্রাইসহ অন্যান্য নদীতে আড়াআড়ি বাঁশের বাঁধ দিয়ে ¯্রােতি জালের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে। রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা এসব জালে বর্ষা মৌসুমে নির্বিচারে শত শত মণ মাছ ধরা হয়। চলতি শুকনো মৌসুমে অবশিষ্ট ২৭টি ¯্রােতি জালের অবকাঠামো অপসারনের উদ্যোগ গ্রহন করে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। সাম্প্রতিক সময়ে অপসারিত ২৭টি ¯্রােতি জালের মধ্যে সিংড়া উপজেলায় ১৮টি এবং গুরুদাসপুর উপজেলায় ৯টি।
সিংড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সিংড়া পৌরসভা থেকে চামারী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৬টি স্থানে তিনদিনে ৬টি ¯্রােতি অপসারণ করা হয়। গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈড় এলাকার মৎস্যজীবী অধীর চন্দ্র হালদার বলেন, আমাদের এলাকার অবৈধ ¯্রােতি জাল উচ্ছেদের ফলে নদীর মা মাছ রক্ষা পাবে, নদী ও বিলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে। নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা জানান, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় বিশেষ করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাগ্রহণের ফলে চলনবিল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ¯্রােতি জালের মাধ্যমে মৎস্য নিধনের অবৈধ কর্মযজ্ঞ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এরফলে মা মাছ রক্ষা পাবে, মাছের চলাচল হবে অবাধ, অনেকগুণে বাড়বে মাছের উৎপাদন আর মৎস্যজীবীদের জীবিকায়ন হবে সহজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ