Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে রিজার্ভ চুরি হয়েছে তা এখন প্রমাণিত -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে তা এখন প্রমাণিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “রয়টার্সের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে বলে এফবিআই নিশ্চিত করেছে। দলের পক্ষ থেকে আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম, সেটি এখন অকাট্ট সত্য হয়ে প্রমাণিত হল।
এত বড় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী কেন এত বছর আটকিয়ে রেখেছেন, এফবিআইয়ের রিপোর্টে সেটি এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। গতকাল (শনিবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে এফবিআইয়ের তদন্তে বিএনপির কথাই ফলেছে। এফবিআইর এক তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তিনি বলেন, ৩০ মার্চ প্রকাশিত রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে দুই বছর আগে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির পেছনে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা’ রয়েছে এফবিআই কর্মকর্তা বলছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা সাধারণ মানুষের টাকা চুরির উন্নয়ন ছাড়া আর কোনো উন্নয়নই করে নাই। দুর্নীতির ছদ্মনাম আওয়ামী লীগ। এত বড় চুরি-চোট্টামি হয়ে গেল, অথচ তাদের (সরকার) কোনো অনুশোচনা নেই। জনশ্রæতি আছে যে, এই রিজার্ভ চুরির পেছনে এমন একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি আছেন, যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা সরকারের নেই। বাংলাদেশ নামক স্টেটের উপরে সুপার স্টেট কার্যকর আছে বলেই জনগণের টাকা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। এই সুপার স্টেট কারা, তা জনগণ জানেন। তাদের গদি ঘাঁটলে না কি সরকারের গদিও নড়ে যাবে। আসলে আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশের ফাঁড়া ততদিন কাটবে না।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘সলিডারিটি গ্রæপ ফর বাংলাদেশ’ ও ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন’র প্রকাশিত বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিবৃতিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে, বাস্তবে ভয়াবহতা আরও ব্যাপক। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জাল নথি তৈরি করে মিথ্যা সাজানো মামলায় যেভাবে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে, যেভাবে সরকারি নির্দেশে জামিন স্থগিত করে রাখা হয়েছে তা মানবধিকারের চুড়ান্ত লঙ্ঘন। শুধুমাত্র শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই সরকারি সহিংসতার ব্যাপক রূপ ধারণ করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে লোহার শিকলে বন্দী করে বাংলাদেশকে অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ থেকে মুক্ত করতে সরকারের রোষানলের শিকার জনগণের অধিকার আদায়ে অবিচল ও প্রত্যয়দৃঢ় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহŸায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার, নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিউর রহমান বাবুল, শহিদুল শেখ, আসাদুজ্জামান, মিজানুর রহমানসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয়। বরিশালের গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুর রহমানের উপর ‘ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের’ হামলার নিন্দাও জানান রিজভী। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল হাই, খায়রুল কবির খোকন, রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম আজাদ, শামসুল আলম তোফা, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ