Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের আশ্বাস এনবিআরের

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী ১২ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শ কমিটির ৩৯তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০১৮-১৯ সালের আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্ক সম্পর্কিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে আগামী বাজেটে মূসক ও শুল্ক হার ব্যবসায়ীদের জন্য সহনীয় রাখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নের লক্ষ্যে এফবিসিসিআই থেকে ইতিমধ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এফবিসিসিআই-এর সদস্য সংগঠনগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে আমদানি শুল্ক, আয়কর ও মূসক সম্পর্কিত প্রাথমিক প্রস্তাবনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন ব্যবসা খাতের প্রস্তাবনা তুলে ধরার জন্য এনবিআর-এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এফবিসিসিআই এর প্রধান কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মোশাররফ হোসেন বলেন, এবারের বাজেট ১৯৯১ সালের আইনের বাইরে যাবে না। এতে করে ব্যবসায়ীরা হয়রানিমুক্ত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

প্রতিবছর বাজেটের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় সেটা দেশের জনগণের কল্যাণের জন্যই ব্যয় করা হয়। সেজন্য ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স দিতে উৎসাহী হওয়ার আহ্বান জানান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এদিকে মতবিনিময় সভার প্রথমে প্রবন্ধ পাঠ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), তিনি বলেন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে চার লাখ ৬০ হাজার বার চার লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটের আকার হতে পারে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার বৃদ্ধি করা হলে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে তা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তখনই ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এধরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয় না। ফলে আইন ও বিধিবিধান এর অপপ্রয়োগ ও হয়রানি বৃদ্ধি পায় দেশের মধ্যে। দেশের উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে রাজস্ব আহরণের বিকল্প নেই তবে সেটি আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে এফবিসিসিআই। শুল্ক ও আয়কর অফিস গুলোতে সেবা প্রদানের মানসিকতা আরও উন্নত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্প ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন খরচ বৃদ্ধি না পায় সে দিকটি বিবেচনায় নিয়ে আয়কর, মূসক ও শুল্ক নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন প্রক্রিয়া কে আমরা স্বাগত জানাই তবে তা হতে হবে ১৯৯১ সালের আইন ও বিধির আলোকে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাস্টমস ভ্যালুয়েশন এগ্রিমেন্ট ও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের আলোকে আধুনিক এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং রাজস্ব বান্ধব করার লক্ষ্যে নতুন শুল্ক আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বাজেট অধিবেশনে সেই শুল্ক আইন পাশ করার দাবি জানাচ্ছি। তৈরি পোশাক শিল্পের ন্যায় অন্যান্য খাতেও যেমন ল্যাবরেটরি টেস্টিং চার্জ, গাড়ি ও যন্ত্রাংশ মেরামত, পেশাগত ব্যয়, স্টেশনারি মালামাল, লোডিং, আনলোডিং ও শ্রমিকদের যাতায়াতে ব্যবহৃত পরিবহন ব্যয়, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড স্টেশন প্রভৃতি ব্যয় অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতিক, বিজিএমই’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ