Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে অভাবী ভিক্ষুক নেই, যা আছে প্রফেশনাল ভিক্ষুক -অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ৪:৪৩ পিএম

দেশে এখন অভাবী ভিক্ষুক নেই, যা আছে প্রফেশনাল ভিক্ষুক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা চেষ্টা করছি, ভবিষ্যতে সমাজ যেখানে শুদ্ধাচার কৌশল অটোমেটিক মানুষ গ্রহণ করবে। যেখানে মিথ্যা কথা বলার প্রয়োজন হবে না। যেভাবে অভাবে তার মৃত্যুর সুযোগ থাকবে না, যে কারণে তাকে ভিক্ষুক হতে হবে না।

বাংলাদেশে ছয় লাখের মত ভিক্ষুক এমন তথ্য উপস্থাপন করে মুহিত বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগই প্রফেশনাল ভিক্ষুক এবং তাদের কিছু করা যায় না। আমার হিসাবে দেশে ছয় লাখের মত ভিক্ষুক আছে। যারা কোনোমতেই ভিক্ষা বৃত্তির বাইরে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। যতই আমরা সাহায্য করি না কেন তারা আবার ফিরে যায়। এদের কিছু দিন কোথাও বসানো হলে, একটা ঘরবাড়ি দেওয়া হলো, কিছুদিন পর আসার সেই ভিক্ষাতে ফিরে যায়। কিন্তু প্রয়োজনে ভিক্ষা, সেটা যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা শেখ হাসিনার সরকার করে রাখছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসতে পারেন তাহলে দেশে কোনো ধরনের ভিক্ষা বৃত্তি থাকবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালায় দুর্নীতি প্রতিরোধে শ্রেষ্ঠ কমিটির সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশে কোনো ভিক্ষা বৃত্তি থাকবে না। নতুন জেনারেশন শুদ্ধাচার কৌশল অনুসরণ করবে। দুদক ওয়াচডগ হিসেবে থাকবে। তারা লোকজনকে নীতি কথা শুনাবে। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে, সেটা ৮ বা ১০ বছর পরে আর কেউ বলবে না।

তিনি আরও বলেন, এখন অভাবে কেউ মারা যাচ্ছে এরকম চিত্র বোধ হয় আপনারা দেখেন না। আমার শৈশব, কৈশোর এমনকি যৌবনেও দেখেছি, বাগেরহাটে দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় মানুষ হঠাৎ না খেয়ে মরা খুব স্বাভাবিক ছিল। এখন কোথাও না খেয়ে মারা যায় না। অসুখে পড়ে খেতে না পারার কারণে মারা যেতে পারে। শুধুমাত্র খাবারের অভাবে মানুষ মরে যাচ্ছে সেটা এখন দেখতে পাবেন না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন জেনারেশন শুদ্ধাচার কৌশল অনুসরণ করবে। তখন এন্টি করাপশন কমিশনেরও থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ শুদ্ধাচারের প্রচার-প্রচারণা করা তখনও প্রয়োজন। একই সাথে শাস্তিরও ব্যবস্থা থাকার উচিত কিন্তু শাস্তি প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। দুদকের মামলায় ৭০ ভাগ শাস্তি পাচ্ছে শুনে খুশি হলাম। এটাই হবে ভবিষ্যৎ। দুদক ওয়াচডগ হিসেবে থাকবে। তারা লোকজনকে নীতি কথা শুনাবে। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে, সেটা ৮ বা ১০ বছর পরে আর বলবে না।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবার মাহমুদ, দুদক কমিশন এএফএম আমিনুল ইসলাম ও দুদক মহাপরিচালক জাফর ইকবাল প্রমুখ।



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ২৯ মার্চ, ২০১৮, ৫:২৯ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে ছয় লাখের মত ভিক্ষুক এমন তথ্য উপস্থাপন করে মুহিত বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগই প্রফেশনাল ভিক্ষুক এবং তাদের কিছু করা যায় না। আমার হিসাবে দেশে ছয় লাখের মত ভিক্ষুক আছে। ****জনগন বলছেন, প্রফেশনাল, মানে “ সরকারের লাইসেন্স প্রাপ্ত “ ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ