পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি কোরআন শরীফের বাংলা অনুবাদের ভুল সংশোধন করছেন। এ কাজ করার জন্য নাকি প্রধানমন্ত্রী তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডিজি সাহেব নিজে একজন জজ। কোরআন অনুবাদের যোগ্যতা বা ক্ষমতা তার নেই। তিনি কোনো আলেম, আরবী ভাষাবিদ বা অনুবাদক নন। তার সাথে কিছু সরকারী বেতনভোগী আলেম, তার অধিনে কর্মরত চাকুরীজিবী আলেম ও কিছু ‘জি হুজুর’ মার্কা দরবারী আলেম নিয়ে যদি তিনি কোরআনের অনুবাদ সংশোধন করেনও, তাহলে জাতি তা মেনে নেবে না। হেফাজতে ইসলামের কিছু ভীরু ও লোভী নেতাকে সরকার নিরব করে দিলেও কোটি কোটি তৌহিদি জনতার মুখ সরকার বন্ধ করতে পারবে না। ডিজি বলেছেন, বাজারে প্রচলিত প্রায় শ’খানেক অনুবাদেই প্রচুর ভুল রয়েছে। হযরত থানভী রহ. এর অনুবাদ ২৭টি প্রকাশনী বাজারজাত করছে, এসবেও নাকি প্রচুর ভুল আছে। যুগ যুগ ধরে কোরআনের বঙ্গানুবাদ দেশে চললেও কোনো আলেমের চোখে এতো ভুল ধরা পড়লো না, আর ডিজি শামীম মোহাম্মদ আফজাল এতগুলি ভুল খুঁজে পেলেন, এটি সপ্তমাশ্চর্যের একটি হওয়া উচিত। তিনি তার পছন্দের কিছু আলেম নিয়ে পবিত্র কোরআন ঘাঁটাঘাঁটি করবেন, তাও আবার প্রচার দিচ্ছেন যে, এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। এ সংবাদে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। গতকাল এক বিবৃতিতে সম্মিলিত মুফতি পরিষদের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, যারা অনুবাদে ভুল খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের উচিত ভুলগুলি চিহ্নিত করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। এটি দেশের হাক্কানী আলেম সমাজ দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তাদের ভুল ধরাটি ভুল না শুদ্ধ। যদি কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে তা দেশের বড় ও প্রাচীন মাদরাসাগুলো থেকে দেওয়া আলেম প্রতিনিধিরাই করবেন। কোনো সরকারের দ্বারা প্রভাবিত বা শক্তির আজ্ঞাবহ দরবারী আলেম নয়। পাশাপাশি কেউ অহেতুক এসব অতিসংবেদনশীল ধর্মীয় কাজে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করছে কি না তাও ভেবে দেখার বিষয়। ৫ মে ২০১৩ পর থেকে ঈমানী বিষয়েও শীর্ষ হেফাজত নেতৃবৃন্দের রহস্যজনক নিরবতা জাতিকে এমনকি সারাদেশে হেফাজতের লাখো নেতাকর্মী ও সমর্থককে চরম হতাশ করে। এমনকি সরকার সমর্থক আওয়ামী ওলামালীগের সমান প্রতিবাদও তারা গত ৫ বছর করার সাহস পাননি। তাদের এ ভীরুতা ও আপোষকামিতা এদেশের ইসলামী কার্যক্রমের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়। আর ধন-দৌলতের লোভে পড়ে যদি তারা ঈমানী বিষয়ে নিরব হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বলবো, কবরের কথা স্মরণ করুণ ও আল্লাহকে ভয় করুন। তাদের সর্বশেষ ভ‚মিকা দেখে দেশবাসী এসব ইসলাম বিরোধী হস্তক্ষেপে ভয় পায়। হেফাজত প্রতিবাদ করলে সরকার অনেক ভুল থেকে বিরত থাকতো, বর্তমানে যা নেই বললেই চলে। আমরা দেশের উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতাকে সতর্ক থাকার আহŸান জানাই। সরকারকেও বলি, দয়া করে নিজের সীমার বাইরে যাবেন না। পবিত্র কোরআন অনুবাদ ও ব্যাখ্যার দায়িত্ব আপনাদের নয়। এজন্য যুগে যুগে বিশেষজ্ঞরা ছিলেন, বর্তমানেও আছেন। সরকারী উদ্যোগে অনুবাদ সংশোধন একটি মহাবিপর্যয়ের সূচনা করুক, আল্লাহর গজব ডেকে আনুক তা আমরা চাই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।