Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ক্ষত বিক্ষত গৌরীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক চরম দুর্ভোগে সড়কে চলাচলরত লাখ লাখ মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চান্দিনা (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সড়ক গৌরীপুর-চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার সড়কটি ক্ষত-বিক্ষত এই সড়কে চলাচলরত লাখ লাখ মানুষ যাতায়াতে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় সড়কটির খুবই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই সংযোগ সড়টি রাস্তার বিভিন্ন স্থান জুড়ে দেখা যায় ক্ষত বিক্ষত। মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকে বিভিন্ন যানবাহনে। এ ছাড়া দাউদকান্দিবাসী জেলা-উপজেলা ও রাজধানীতে যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়কের পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে যানবাহন ও পথচারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জরাজীর্ণ ভাঙা গর্ত ও ধূলোবালুর কারণে যাতায়াতে কষ্টের শেষ নেই।
যদিও সড়কটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন তথাপি থেমে থাকেনি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার প্রায় ৬ লক্ষাধিক জনসাধারণের জীবন যাত্রার প্রবাহ। নিত্যদিনের প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ ছুটে চলেছে এমনি ঝুঁকিপূর্ণ পিচঢালা পথটি ধরে। কচুয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ইসমাইল হোসেন জানান, আমি প্রতিদিন এই সড়কে কুমিল্লা থেকে আসা যাওয়া করি, আমার কলেজের ষ্টাফ, ব্যাংক কর্মকর্তা, হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াত করে। দুইটি বাস যখন ক্রস করে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে এমনিভাবে কাত হয়ে মনে হয় যেন খালে উল্টে পড়ছে। তখন ভয়ে বুক ধরফর করে। কচুয়া বাজারের সিমেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ আনিসুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সিমেন্টবাহী কন্টেইনার ট্রাক গৌরীপুর আসার পর কচুয়া অভিমুখে ঢুকতে চায় না ভাঙ্গাচুরা রাস্তার কারণে। ঢাকা-মতলব সড়কের বাস চালক খোকন মিয়া ও মোঃ বাবুল মিয়া জানান বড় বড় গর্তে উঠা নামার কারণে গাড়ির গøাস, ফরম এক্সেল, ¯িপ্রং ভেঙ্গে যায়। যে সব যস্ত্রাংশ পাঁচ বৎসর চলে তা এক বৎসরে বিকল হয়ে যায়। এক ঘন্টার এই রাস্তা পাড়ি দিতে দুই ঘন্টার ও বেশি সময় লেগে যায়। অটোরিক্সা ড্রাইভার অলি জানান এই রাস্তয় গাড়ির এক্সেল, টেংরি ও চাকার ভীষণ ক্ষতি হয়। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। তাছাড়া স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগ্রামী শিক্ষার্থীরা ধূলোবালুর কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গৌরীপুর মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়ার জরাজীর্ন এই সড়কের ব্যাপারে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে সড়ক মেরামতের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা হলে তারা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মেরামতের কাজ শুরু হবে।
যাত্রী সাধারনের ভাষ্যমতে গর্তের মধ্যে পড়ে গাড়ী যেমনি ভাবে কাত হয় মনে হয় যেন গাড়িটি এক্ষুনি উল্টে যাচ্ছে। ভয়ে মানুষ সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরন করতে থাকে। তারপরও ওই এলাকার লোকজন জীবন জীবিকার তাগিদে এমনিভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ছুটে চলেছে স্থান-স্থানান্তরে। তাই অবিলম্বে এই সড়কটি মেরামত করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রানহানি। এই অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠির একমাত্র যোগাযোগের চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া সড়কটি দ্রæত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে দাবী জানান ওই এলাকার সর্বস্তরের জনগন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ