বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা: মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যাশিত স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ ৪৭ বছর পর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন ভারতীয় সীমান্তে তিনটি ‘পাক’ (চঅক) সীমান্ত পিলার ‘বাংলা’য় রুপান্তর করা হয়েছে। গত সোমবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন তৎকালীন ভারত ও পাকিস্থানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকার পাকিস্থানী সীমান্ত পিলার সংস্কার ও রং করে ‘পাক’ (চঅক) এর স্থানে ‘বাংলা’ লেখে দেন।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি সূত্র জানায়, স্বাধীনতার দীর্ঘ দিনেও ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে তিনটি সীমান্ত পিলারের গায়ে ‘পাক’ (চঅক) লেখা ছিল। এর মধ্যে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সরদারপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩২ এর ১২ নং সাব পিলার, একই উপজেলার নারায়নজোত সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩৪ এর ৩ নং সাব পিলার এবং সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৪১৭ এর ১৭ নং সাব পিলার এর গায়ে নামফলক হিসেবে ‘পাক’ (চঅক) লেখা ছিল। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোতি পেয়ে সেগুলোর গায়ে ‘বাংলা’ লেখা হয়। এর মাধ্যমে জেলায় বিভিন্ন ভারতীয় সীমান্তের সবগুলো সীমান্ত পিলারের গায়ে বাংলা/বাংলাদেশ লেখা হলো।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল আল হাকিম মোহাম্মদ নওশাদ বলেন, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি’র আওতাধীন তিনটি পিলারের গায়ে ‘পাক’ (চঅক) লেখা ছিল। পিলারগুলো বাংলাদেশ ও ভারত সীমানের অবস্থানের কারণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু করার ছিল না। অনুমতি নিয়ে সোমবার সেগুলোতে ‘বাংলা’ লেখা হয়েছে। এখন থেকে পাক (চঅক/চধশরংঃধহ) নামফলক বিলুপ্ত হয়ে সে সব সীমান্ত পিলার ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন নিয়ন্ত্রনে থাকবে। একই সাথে বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ১ হাজার ১৩৬টি সীমান্ত পিলারে সবগুলোর গায়ে বাংলা/বাংলাদেশ লেখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।